ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

২ বছর পর কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
২ বছর পর কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

কলকাতা: করোনা মহামারি কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর কলকাতায় দশমবারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বইমেলা। শুধু বাংলাদেশের বইয়ের পসরা নিয়ে কলকাতায় শেষ বইমেলা হয়েছিল ২০১৯ সালে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এই বইমেলার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ঢাকার সম্মিলিত উদ্যোগে চলতি বছর এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার বইপাড়া বলে পরিচিত কলেজ স্ট্রিট সংলগ্ন কলেজ স্কোয়ার প্রাঙ্গণে। ১০ম বাংলাদেশ বইমেলা চলবে ২ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলা চলবে দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা অবধি।

প্রতিবারের মতো এ বছরও বাংলাদেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা, প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৭৭টি বাংলাদেশি প্রকাশনার বই কলকাতার পাঠকদের কাছে হাজির করা হবে। মেলামঞ্চে প্রতি সন্ধ্যায় থাকবে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, কবিতা পাঠ, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

বইমেলা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কলকাতায় ২০১১ সালে বাংলাদেশ বইমেলার পথচলা শুরু। সূচনালগ্নে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালার ঘরে। শুরু হলেও নির্দিষ্টস্থানে মেলাটিকে রাখা যায়নি। বারবার পরিবর্তন হয়েছে স্থান ও সময়। এরপর নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর ঘুরে বাংলাদেশ বইমেলা হয়ে আসছিল রবীন্দ্রসদনের পশ্চিম পাশে মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে। শেষবার সেখানেই হয়েছিল বইমেলা। এবার ফের স্থান পরিবর্তন করে চলে এলো কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে।

আয়োজকদের মতে, কলকাতার বইপাড়া এমন একটা অঞ্চল যেখানে নিত্যদিন ভিড় লেগে থাকে। একদিকে যেমন গোটা বাংলার পাইকারি ও খুচরা বইয়ের বাজার এই কলেজ স্ট্রিট, অপরদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে কলেজ স্ট্রিটে। এছাড়া বাড়তি পাওনা কফি হাউসের আড্ডাপ্রেমীদের জমায়েত। ফলে কলেজ স্ট্রিট মানে বাংলাদেশ বইমেলার বাড়তি প্রচার। সেটাই আসল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি মাজারুল ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার মূল উদ্দেশ্য শুধু ব্যবসায়িক নয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করা। এর সাথে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যাতে বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখকদের সাথে উদীয়মান লেখদেরও চিনতে পারাটাই বাংলাদেশ বইমেলার মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।