ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

মনিপুর রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানালো ত্রিপুরার বিভিন্ন সংগঠন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
মনিপুর রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানালো ত্রিপুরার বিভিন্ন সংগঠন

আগরতলা (ত্রিপুরা, ভারত): মনিপুর রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে এবার ত্রিপুরা থেকে। যৌথভাবে সে রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি স্থাপনের আবেদন জানিয়েছে তুইপ্রা স্টুডেন্টস্ ফেডারেশন (টিএসএফ), ত্রিপুরা মনিপুরী স্টুডেন্ট-ইউথ কোর্ডিনেশন কমিটি (টিএমসাইকো) এবং ত্রিপুরা ঝাড়খন্ডী সমাজ উন্নয়ন সমিতি।

মঙ্গলবার (৯ মে) এই তিনটি সংগঠনের নেতারা আগরতলা প্রেস ক্লাবে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে মনিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

টিএসএফ সাধারণ সম্পাদক জন দেববর্মা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পার্শ্ববর্তী রাজ্য মনিপুরে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসরত দুটি মূখ্য জনগোষ্ঠী মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ভাতৃঘাতী দাঙ্গার ফলে উভয় সম্প্রদায়ের মূল্যবান জীবনহানির পাশাপাশি অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। মনিপুরের এই অপ্রীতিকর ঘটনায় ত্রিপুরার প্রতিটি সংগঠন গভীরভাবে মর্মাহত ও ব্যথিত। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য বিজেপি শাসিত মনিপুর সরকারের প্রশাসনিক ব্যার্থতা সম্পূর্ণভাবে দায়ী। কেননা এই ঘটনা হঠাৎ করে একদিনে সংঘটিত হয়নি। এর পেছনে দীর্ঘ সরকারি ধারাবাহিক বঞ্চনা ও অবহেলার ঘটনা রয়েছে।

তিনি বলেন, মূলত মনিপুরে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় ও উপত্যকায় বসবাসকারী নাগা, কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠী তাদের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দাবি-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু সরকার সেই দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সমাধানের পরিবর্তে কার্যত উপেক্ষা করেছে এবং জনগণের বিভিন্ন জলন্ত ইস্যুতে সরকারের ব্যার্থতাকে আড়াল করার জন্য বিভিন্ন জনগোষ্ঠীদের দাবিগুলোকে একে অপরের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আর বিভেদকামী শক্তিগুলো এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন, ঘৃণা ও সংঘর্ষের কাজকে আরও সুচারুভাবে তরান্বিত করতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে মনিপুর রাজ্যের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।

এই পরিস্থিতিতে তারা, মনিপুর সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি দাবি জানান অতিসত্বর মনিপুরে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং মনিপুরের সব জনগোষ্ঠীর নেতাদের নিয়ে অবাধ শান্তি আলোচনার ব্যাবস্থা করতে হবে। গৃহহারা ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের উদ্ধার করে উপযুক্ত নিরাপত্তা সহকারে নিজ নিজ স্থানে ফিরিয়ে নেওয়া এবং পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এদিনের এই সংবাদ সম্মেলনে টিএসএফ সাধারণ সম্পাদক জন দেববর্মা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিএম সাইকো সাধারণ সম্পাদক এস. বিমল সিংহ, টিজেএসইউএস সাধারণ সম্পাদক অনন্ত ওরাং।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।