ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

এমপির বাড়িতে চলছে নোট গণনা, ৪০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এমপির বাড়িতে চলছে নোট গণনা, ৪০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে

কলকাতা: ভারতের উড়িষ্যায় কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সদস্য ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ এখনও গোনা হচ্ছে।  

গত ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে রোববার (১০ ডিসেম্বর) প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি তার বাড়িতে চলছে আয়কর দফতরের তল্লাশি।

শেষ তথ্য মতে, অর্থের পরিমাণ ৩০০ কোটি রুপির গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। গোনার কাজ এখনও শেষ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া অর্থের পরিমাণ ৪০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।  

উড়িষ্যার একটি বড় মদ কারখানা থেকে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত ৩০০ কোটি রুপি উদ্ধার করেছেন আয়কর দফতরের কর্তারা। রাচিতে তার বাড়িসহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান রাজস্ব গোয়েন্দারা।  

এদিন জানা গেছে, উড়িষ্যার বোলাঙ্গি জেলায় তল্লাশি সময় একটি পলিথিন প্যাকেটে উদ্ধার হয়েছে ৫ লাখ রুপি। এবং সেই প্যাকেটে ‘ইন্সপেক্টর তিওয়ারি’ বলে একজনের নাম লেখা ছিল। কিন্তু কে এই ‘ইন্সপেক্টর তিওয়ারি’, কী তার আসল পরিচয়, তিনি কি মদ প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে কোনোভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সাহায্য করতেন? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে রাজস্ব গোয়েন্দারা।

ওই ব্যক্তির জন্য কেন পলিথিনে ৫ লাখ রুপি রাখা হয়েছিল, তা জানতেও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যেহেতু মদ কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ রুপি উদ্ধার হয়েছে, তাই প্রশ্ন উঠছে, এই ‘ইন্সপেক্টর তিওয়ারি’ কি কোনোভাবে পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত? আপাতত সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় এখন গোটা ভারতের গণমাধ্যম তাকিয়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, বোলাঙ্গি জেলায় ‘বৌধ ডিস্টিলারি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে সেই সংস্থার অফিসে গত ৬ ডিসেম্বর হানা দিয়েছিলেন আয়কর দফতরের কর্তারা। সেখানকার ৩০টি আলমারির মধ্যে ঠেসে ঢোকানো ছিল এই অবিশ্বাস্য অঙ্কের নগদ অর্থ।  

এছাড়া বৌধ ডিস্টিলারিজের আরও একটি গ্রুপ কোম্পানি ‘বলদেব সাহু প্রাইভেট লিমিটেড’। সেটাও ধীরাজের ব্যবসা। সেখানেও চলছে অনুসন্ধান।

উদ্ধার হওয়া অর্থের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি ধীরজ সাহু। তবে দলীয় এমপির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থের বিষয়ে দায় ঝেড়ে ফেলেছে কংগ্রেস।  

দলের দাবি, একমাত্র সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যই এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন কীভাবে একো অর্থ মিলল তার বাড়িতে!

শনিবার থেকেব প্রথমে ছোট যন্ত্র এনে রুপি গোনার কাজ শুরু হয়। কিন্তু, রুপির পরিমাণ একো বেশি ছিল যে, সেই যন্ত্রগুলি খারাপ হয়ে যায়। পরে আবার নতুন যন্ত্র আনিয়ে রুপি গোনার কাজ শুরু হয়েছে।  

বোলাঙ্গিরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার ভগত বহেরা বলেছেন, আমাদের ব্যাংকে ১৭৬টি ব্যাগভর্তি রুপি এসেছে। তারমধ্যে ৪০টি গোনা হয়েছে। টাকা গোনার জন্য লোকসংখ্যা এবং যন্ত্রের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের পরে বিরোধীদের নিশানা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সসে তিনি লিখেছেন, দেশবাসীর উচিত এই অর্থের স্তূপের দিকে নজর দেওয়া এবং তারপর সততার বিষয়ে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য শোনা। মানুষের কাছ থেকে লুট করা প্রতিটি পয়সা ফেরত দিতে হবে। এটাই মোদির গ্যারান্টি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।