ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভোটের আগে ধরনায় বসলেন মমতা, তুললেন ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
ভোটের আগে ধরনায় বসলেন মমতা, তুললেন ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের বকেয়া অর্থ আদায়ের দাবিতে ধরনায় বসেছেন। তার ধরনা মঞ্চের ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা মানছি না, মানব না।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় কলকাতার রেড রোডে ধরনাস্থলে পৌঁছে কর্মসূচি শুরু করেন মমতা। তার আগে ভারতের সংবিধানপ্রণেতা আম্বেডকরের মূর্তিতে মালা দেন তিনি।

প্রতিবাদের জন্য কালো রঙ বেছে নিয়েছেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী গায়ে জড়িয়েছেন কালো চাদর। তার নারী নেত্রী-মন্ত্রীদের পরনে কালো রঙের শাড়ি। পুরুষ নেতা-মন্ত্রীদের গায়ে কালো পাঞ্জাবি। ধরনা মঞ্চের পেছনেই দু’টি অস্থায়ী রুম করা হয়েছে। মমতার কথায়, একটিতে তিনি সাংগঠনিক কাজ করবেন, অন্যটিতে প্রশাসনিক কাজ।

মমতা বলেছেন, আমি কয়েকদিন ছিলাম না। অনেক ফাইল জমে রয়েছে। তাই আমি মাঝে মাঝে পেছনে গিয়ে ফাইলে সই করে আসব। আর আমার কিছু সাংগঠনিক কাজও রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ধরনা মঞ্চে হবে গান এবং মিটিং ও জনসভা।  

মমতা মঞ্চ থেকেই কে কোথায় বসবে বা গাড়ি কোথায় রাখবে, সব কিছু পরিচালনা করছেন। মঞ্চের নিচে প্রতিটা জেলার জন্য আলাদা আসন করা হয়েছে। পৃথক বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে নারী-পুরুষের।

এদিকে, বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত সোরেন পদ থেকে গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ইস্তফা দেওয়ার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। রাজনৈতিক সহকর্মীর গ্রেপ্তার নিয়ে শুক্রবার এক্স-এ (টুইটার) ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

তিনি লিখেছেন, শক্তিশালী আদিবাসী নেতা হিমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই। বিজেপির কথায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি নির্বাচিত একটি সরকারকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে। এটা প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র। হিমন্ত আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এই কঠিন সময়ে আমি তার পাশে দাঁড়ানোর শপথ করছি। ঝাড়খণ্ডের মানুষ এর জবাব দেবে এবং হিমন্ত কঠিন যুদ্ধে জয়ী হবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নদিয়া জেলার সভায় মমতা বলেছিলেন, ‘তোমরা (বিজেপি) ভোটের আগে মাঠ ফাঁকা করবে বলে সবাইকে গ্রেপ্তার করছো। মনে রেখো, আমাকে জেলে পুরলেও আামি জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসব। ’

তবে কাকতালীয়ভাবে এদিনই রাজ্যের সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য এক হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপি সরকার এদিন যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তা অবশ্য বাংলার বকেয়া পাওনা নয়। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের প্রকল্প হিসেবে। কলকাতার বাড়িগুলিতে সরকারি প্রকল্প হিসেবে পাইপের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়। গ্রাম বাংলার জন্য এই সুবিধা বরাদ্দ করেছে ভারত সরকার।

সম্প্রতি জেলাগুলোয় আর্সেনিক মিশ্রিত পানি পাওয়ার খবর বারবার সামনে আসছিল। তাই নদীর বা গভীর জলাশয়ের পানি পরিশোধন করে গ্রাম বাংলার বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করার জন্য এই অর্থ ধার্য করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
ভিএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।