ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

হাসিনার পদত্যাগের খবরে কলকাতায় উল্লাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৪
হাসিনার পদত্যাগের খবরে কলকাতায় উল্লাস

কলকাতা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে বিজয় মিছিল হয়েছে কলকাতায়। কারণ এই জয় শুধু বাংলাদেশিদের নয়, এই জয় বঙ্গবাসীরও, এমনটাই মনে করছেন কলকাতাবাসী।

বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকেই কলকাতার বাম রাজনৈতিক দলগুলো পাশে ছিল। ভারতের মিডিয়াসহ সামাজিক মাধ্যমগুলো অস্থির বাংলাদেশের খবর তুলে ধরছিল, যা দেখে বিরক্ত বোধ করছিল বঙ্গবাসী। তাদের অভিমত, শান্তি ফিরে আসুক বাংলাদেশে।

হাসিনার পদত্যাগে সেই শান্তি ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও। যে কারণে সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ হাসিনা বাংলাদেশের মাটি ছাড়তেই কলকাতার নিউ মার্কেট চত্বরে উচ্ছ্বাস ও বিজয় মিছিলে শামিল হন কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরা। নিউমার্কেট সংলগ্ন মার্কুই স্ট্রিট চত্বরে তারা ছোট একটি বিজয় মিছিল বের করেন। এসময় নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়। বহু শহরবাসীও সেই মিষ্টি মুখে শামিল হন। ওই বিজয় মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘আমার ভাই, মরলো কেনো, শেখ হাসিনা জবাব চাই। ’ যদিও কলকাতার বুকে সে বিজয় উল্লাস বেশিক্ষণ চলতে দেওয়া হয়নি। কলকাতা পুলিশের অনুরোধে সে মিছিল বন্ধ হয়ে যায়।

কলকাতায় অবস্থানরত এক বাংলাদেশি জানান, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ছাত্র সমাজের দাবির মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা অত্যাচার করেছে, হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা গুলি করে আমাদের ছাত্র সমাজকে প্রতিহত করতে চেয়েছে, কিন্তু ছাত্রসমাজ গুলিকে ভয় পায় না। আমরা আজ খুশি। আমরা আরো বেশি খুশি হব যদি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে তার বিচার করা হয়।

কলকাতায় বেড়াতে আসা চট্টগ্রামের বাসিন্দা মুন্নি নামে এক নারী জানান, আমাদের আজকে ঈদের মতো খুশির দিন কারণ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেল। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকদিন যুদ্ধ করে লড়াই করে এই দিনটাকে নিয়ে এসেছে।

বামমনস্ক উদয় হালদার জানান, হাসিনার প্রতি আমাদের ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ নেই। কিন্তু যেভাবে আন্দোলন দমনের নামে ছাত্র হত্যা করেছে, তা আমরা মেনে নিতে পারিনি।  

এদিকে বাংলাদেশের এই চলমান পরিস্থিতির কারণে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পেট্রাপোল, ফুলবাড়ী সীমান্তে মোতায়েন সেনার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এদিনই বিএসএফের অপারেশনাল প্রস্তুতি ও কৌশলগত মোতায়েন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সুন্দরবনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী (আইপিএস), অতিরিক্ত ডিজি রবি গান্ধী, মহাপরিদর্শক (দক্ষিণবঙ্গ) মনিন্দর প্রতাপ সিং সহ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এদিকে বাংলাদেশে অচল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৪
ভিএস/নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।