কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে অবস্থিত ফুরফুরা শরিফে ইফতার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার (১৭ মার্চ) ফুরফুরা শরিফে ইফতার মজলিসে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইফতারের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এলেই আমাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কেন। আমিতো সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই যাই। আমি যখন দুর্গাপূজা করি বা কালী পূজা করি তখন তো এই প্রশ্ন করেন না।
তিনি বলেন, আমি যেমন খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানেও যাই, তেমনি আমি ইফতারেও অংশ নিই। একইভাবে আবার পাঞ্জাবীদের ধর্মস্থান গুরুদুয়ারাতেও যাই, গুজরাটিদের ডান্ডিয়া, হোলিতেও অংশ নিই। কই তখন তো প্রশ্ন ওঠে না। আমি মনে করি, বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন মমতা। সেই মোতাবেক ফুরফুরা শরিফে ইফতারে অংশ নেন মমতা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে গত কদিন ধরেই তাকে নিশানা করে চলেছে বিজেপি।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ভোট আসন্ন। তাই ভোট ব্যাংক গোছাতেই মুখ্যমন্ত্রীর ফুরফুরা সফর। তিনি প্রতিবার বিধানসভা ভোটের আগে ফুরফুরায় যান। ২০১৬ সালেও গিয়েছিলেন। এখন ভোট এসেছে, তাই ফের ফুরফুরায় গেলেন।
মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দুর সেই বক্তব্যের জবাব দিলেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আগমনে সাজসাজ রব ছিল ফুরফুরা শরিফে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা ফুরফুরা শরিফ এলাকা। ইফতারে অংশ নেন, ফুরফুরা শরিফের জমিয়তে উলামায়ে বাংলার সাধারণ সম্পাদক তথা পীরজামাতা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ও পীরজাদা তামিম সিদ্দিকী, জমিয়তে উলামায়ে বাংলা ফুরফুরা শরিফের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেনসহ বিশিষ্টজনেরা।
সব ধর্মাবলম্বী মানুষের মঙ্গল কামনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, রমজান মাসে তিনি যেন সবার রোজা কবুল করেন। আমি সবার জন্য দোয়া করি, সবাই যেন শান্তিতে থাকেন। সম্প্রতি, শান্তি, ঐক্য - সবাইকে ভালো রাখার জন্য এটাই আমার বার্তা।
ইফতারের আগে পীর ও পীরজাদাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে একাধিক আশ্বাস দেন এবং কিছু সরকারি প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ১৭ মার্চ ২০২৫
ভিএস/আরএইচ