কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের আকাশে করোনাভাইরাসে কালো মেঘ যেন ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে। তাহলে কী আবারও ফিরে আসবে ভয়াবহ দিনগুলো? চলমান পরিস্থিতি যেন এমনই প্রশ্নই তুলছে।
শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে করোনার শনাক্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে দ্বিগুণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যা ৮৯ জন। এর জেরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছে গেছে ২০৫ জনে। শুক্রবার (৩০ মে) পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এই শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১১৬ জন। ফলে পরিস্থিতি যে ধীরে ধীরে রাজ্য সরকারের কাছে উদ্বেগজনক হচ্ছে, তা মানছে রাজ্যটির স্বাস্থ্য ভবনও। বাংলার মতো ধীরে ধীরে বেহাল অবস্থা হচ্ছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত কয়েক মাসে ভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত রোববার (২৫ মে) শনাক্তের সংখ্যা ছিল এক হাজেরর কিছু বেশি। আর এদিন সন্ধ্যায় দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩৯৫ জনে।
বৃদ্ধির অঙ্কে ভারতের কেরালার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। দক্ষিণ ভারতের কেরালায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন। মহারাষ্ট্রে ৪২৪ জন। এরপরই আছে দিল্লি ২৯৪ জন, গুজরাটে ২২৩ জন, কর্নাটক ও তামিলনাড়ু দুই রাজ্যেই সংক্রমণের সংখ্যা ১৪৮ জন করে। এ ছাড়া রাজস্থানে ৫১, উত্তরপ্রদেশে ৪২, পদুচেরিতে ২৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আর এই তথ্যই যেন জানান দিচ্ছে, দ্রুতগতিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে ভারতে।
চিকিৎসকদের দাবি,পরিস্থিতি এখনও আগের মতো ভয়াবহর দিকে যায়নি। আগাম প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। তাদের তথ্য মতে, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জেএন.১, এনবি ১.৮.১ ও এলএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণই বেশি ছড়িয়ে পড়েছ। প্রত্যেকটি ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের সাব লিনিয়েজ। যা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখলেও, ভয়াবহ আকার খুব একটা নেয় না।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংক্রমিতদের বেশিরভাগই হালকা উপসর্গ যেমন মাথাব্যথা, গলা খুসখুস, জ্বর, সর্দি, পেটে ব্যথা বা পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ, হাত পরিষ্কার, জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা এবং অপ্রয়োজনীয় সমাবেশ এড়িয়ে চলার মতো মৌলিক সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে।
ভিএস/এএটি