ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

স্বাধীনতার পর ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ হচ্ছে রাজ্যে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
স্বাধীনতার পর ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ হচ্ছে রাজ্যে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন।

কলকাতা: স্বাধীনতার পর দেশে কোনো রাজ্যে ৩২৪ সংবিধান প্রয়োগ করল ভারতের নির্বাচন কমিশন। সাধারণত ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে বন্ধ হয় নির্বাচনী প্রচারণা। 

একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ভাবে ৭২ ঘণ্টা আগে বন্ধ করা হলো নির্বাচনী প্রচার। অর্থাৎ ভারতের সপ্তম দফা ভোটের আগে বৃস্পতিবার (১৬ মে) থেকেই রাজ্যে শেষ দফার প্রচার করতে পারবে স্থানীয় সময় রাত ১০টা পর্যন্ত।

ভোট হবে ১৯ মে।

ওই দিন ভারতের আট রাজ্যে ৫৯টি আসনে ভোট। অন্যান্য রাজ্যে আগের নিয়ম বহাল থাকলেও শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ম বহাল করা হলো।  

নির্বাচন কমিশন মনে করেছে গোটা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবঙ্গে। বিশেষ করে মঙ্গলবার (১৪মে) বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর বিশৃঙ্খলা আরও বেড়ে গেছে রাজ্যে। ভোটের আগে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

শাসকদল ছাড়া এ সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে সব বিরোধীরা। পাশাপাশি রাজ্যের জন্য বিষয়টা অতি লজ্জাজনক বলে আক্ষেপ করেছে তারা। শাসক দলের এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারতে কোথাও নির্বাচন নিয়ে এত অশান্তি নেই। এমনকি অশান্ত কাশ্মীরেও নির্বাচনের অশান্তি নেই। যা দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।

কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য প্রদীপ ভটাচার্য জানিয়েছেন, বিষয়টা অতি লজ্জাজনক। রাজ্যে কোনো আইন শৃঙ্খলা নেই। ঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  

সিপিআইএম-এর তরফে বলা হয়েছে নজিরবিহীন ঘটনা। বিজেপি তৃণমূল এর জন্য দায়ী। প্রচারের আগে প্রার্থী স্বাধীনতা হরন হলো।

তবে নির্বাচন কমিশন শুধু প্রচারের সময় কমায়নি এর পাশাপাশি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিল কমিশন। তার কাজকর্ম দেখভাল করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে।  

দিল্লি থেকে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।