ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতা বইমেলায় নজর কেড়েছে ‘বাংলাদেশ ভবন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০
কলকাতা বইমেলায় নজর কেড়েছে ‘বাংলাদেশ ভবন’ কলকাতা বইমেলায় নজর কেড়েছে ‘বাংলাদেশ ভবন’। ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: ইচ্ছে থাকলেও এখনো অনেক কলকাতাবাসীর শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন ঘুরে দেখা হয়নি। তাই গোটা বাংলাদেশ ভবন উঠে এলো এবারের ৪৪তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়। এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে ‘বাংলাদেশ ভবন’। যা দেখে সল্টলেকবাসী অসীমাভ দাস বলেন, চাকরির শুবাদে শহরের বাইরে থাকা হয়। কিন্তু বইমেলার কারণে বাংলাদেশ ভবন দর্শন করা হলো। আসলে আমাদের দুই বাংলার সংস্কৃতি তো একই।

২০১৮ সালের ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশ ভবন। তারপর থেকে গর্বের সঙ্গে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ভবন বিশ্বভারতীতে।

 

প্রসঙ্গত, দুই বিঘা জমির ওপর দ্বিতল বাংলাদেশ ভবনের জন্য ২৫ কোটি রুপি ব্যয় করেছেন বাংলাদেশ সরকার। ভবনটির তত্ত্বাবধানে করে বাংলাদেশ সরকার।

এবার গত ২৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ৪৪তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এ মেলায় ৩৬শ বর্গফুটের বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ান।

প্যাভিলিয়নের ভেতর ৪১টি স্টল, আটটি সরকারি ও ৩৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মিলিয়ে মোট ৪৩টি প্রকশনা এবারে কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছে। সব মিলিয়ে ১০ হাজার শিরোনামে এবারের মেলা বইয়ের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। সারা বছর কলকাতাবাসী অপেক্ষা করে থাকেন এ সময়ের জন্য। এক বাংলার বই আরেক বাংলার বাঙালিরা পড়েন। অবশ্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের বইয়ের পসরা নিয়ে কলকাতায় হয় ‘বাংলাদেশ বইমেলা’।  
কলকাতা বইমেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় ।  ছবি: বাংলানিউজতবে বাংলাদেশি বইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কলকাতায়। তাই প্রকাশকদের ভাষায় পুরনো চাল ভাতে বাড়ার মতো, সময় পাল্টালেও বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন আর হুমায়ুন আহমেদের, আনিসুল হক, সামসুর রহমান, জাফর ইকবালের বইয়ের চাহিদা এবারও কলকাতা বইমেলায় সবচেয়ে বেশি।

তবে অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি রান্নার বই, বিভিন্ন ইংরেজি বইয়ের বাংলা ভার্সনের চাহিদাও রয়েছে।

এরই মধ্যে কয়েক হাজার বাংলা একাডেমির অভিধান বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সময় প্রকাশনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজনৈতিক বইগুলোর চাহিদাও রয়েছে।

এদিকে মেলায় ভিড় দেখা গেছে বিজয় সফটওয়্যারের স্টলেও। স্টল প্রধান বলেন, কোনো সফটওয়্যারকে ছোট করছি না। তবে বাংলাটা, বাংলার মতো লিখতে বিজয়ের চাহিদা কলকাতায় দিনদিন বাড়ছে।

বইমেলা চলবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শেষদিন গোটা মেলা প্রাঙ্গণে পালন হবে বাংলাদেশ দিবস। এদিন ‘মুজিববর্ষে বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে চিনুন’ শিরোনামে এক সেমিনার হবে মেলা প্রাঙ্গণের অডিটোরিয়ামে। সেমিনারে উপস্থিত থাকবেন দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা। এছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এবারের বইমেলার থিম কান্ট্রি রাশিয়া। দীর্ঘ ৪৪ বছরে বইমেলায় প্রথমবার থিমকান্ট্রি হিসেবে উঠে এসেছে রাশিয়া। যা নিয়েও অনেকের চাপা ক্ষোভ আছে।  

বাংলাদেশসহ ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান, চীন, স্পেন, কোস্টারিকা, আর্জেটিনাসহ ২৯টি দেশ নিজেদের সাহিত্যের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন কলকাতা বই মেলায়।  এছাড়া মেলায় অংশগ্রহণ করেছে ভারতের প্রতিটি রাজ্য।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
ভিএস/আরআইএস/

টারপেক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।