ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মমতার টুইটে আশা দেখছে বাংলাদেশে আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
মমতার টুইটে আশা দেখছে বাংলাদেশে আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গবাসী

কলকাতা: লকডাউনের জেরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া রাজ্যবাসীকে দ্রুত ফেরানো হবে বলে টুইট করে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সোমবার (২৭ এপ্রিল) টুইটে তিনি বলেন, লকডাউনের জেরে এ রাজ্যের বহু মানুষ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন। তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা হবে।

রাজ্য সরকার সব রকম চেষ্টা করছে। প্রশাসন সব সময় তাদের পাশে রয়েছে।

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী আটকে পড়া রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখছি। নিজেদের অসহায় ভাববেন না। এটা একটা কঠিন পরিস্থিতি, তা কেটে যাবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। আপনাদের বাড়ি ফেরানোর সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।

লকডাউনের জেরে রাজ্যের একাধিক শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন ভারতের বহু রাজ্যে। তাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সাহায্য করার একান্ত চেষ্টা করছি। আটকে পড়া বাংলার শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

অপরদিকে বাংলাদেশে আটকে থাকা পশ্চিমবাংলার কয়েক হাজার ভারতীয় নিয়ে কোনো নির্দেশ দেননি মমতা। তবে মমতার এহেন টুইটে আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশে আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গবাসীও।  
 
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিও বৈঠকে এ বিষয়টিও একটি প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল বলে জানা যায়। ভিনরাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যবাসীদের ফেরানোর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে তা সম্ভবত জানতে চেয়েছেন মমতা?

ফলে বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গবাসী চাইছেন মমতা তাদের নিয়ে কথা বলুক। সূত্র জানায়, খুব শিগগিরই মমতার কাছে ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন করবেন তারা। তখন মমতা কি বলেন সেদিকেই তাকিয়ে আছে বাংলাদেশে অবস্থানকারী পশ্চিবঙ্গবাসী।  

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের প্রবসীদের দেখা উচিত মমতার-এমনটাই দাবি বাংলাদেশে আটকে পড়াদের।

করোনা ভাইরাসজনিত কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতে ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ফিরতি প্লেনের ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন। এরইমধ্যে অনেকে ফিরে গেছেন। সামনে রয়েছে আরো কয়েকটি ফ্লাইট।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ইচ্ছুক বাংলাদেশি যাত্রীরা উপ হাইকমিশনে মেইল করে আবদেন জানাতে পারেন।

বাংলাদেশ তার দেশের মানুষের জন্য উদ্যোগ নিলেও পশ্চিমবঙ্গ বা ভারত সরকার উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশ অনেকে।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশেও আটকে আছেন পশ্চিমবঙ্গের কয়েক হাজার মানুষ। তারা সেখানে বিভিন্ন পেশা ও শিক্ষার সঙ্গে জড়িত। অনেকে করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে রয়েছেন বিপদে।

আপর একটি সূত্র জানায়, ভারতে ফিরতে হলে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুমতি প্রয়োজন। যদি মমতা সবুজ সংকেত দেন তাহলে বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয়রা দেশে ফিরতে পারবেন।  

ভারতে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ মে। তার পর কী হবে? ধাপে ধাপে কি উঠতে পারে লকডাউন? মূলত এ বিষয় নিয়েই সোমবার(২৭ এপ্রিল) ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকাল ১০টা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক শুরু হয়। ধাপে ধাপে লকডাউন তোলাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনা পজিটিভের সংখ্যা মোট ২৭ হাজার ৯৭৭। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ হাজার ৫২৩ জন। দেশে এখন অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ২০,৮৩৫। মৃত্যু হয়েছে ৮৮৪ জনের। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যা শনিবারের তুলনায় কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।