ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

টিকা না এলে ফেব্রুয়ারিতে দিনে ৩ লাখ আক্রান্ত হবে ভারতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২০
টিকা না এলে ফেব্রুয়ারিতে দিনে ৩ লাখ আক্রান্ত হবে ভারতে

কলকাতা:  এরইমধ্যে মহামারি কবলিত দেশ হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। সংক্রমণের নিরিখে ছাড়িয়েছে চীন, স্পেন, ইতালি, রাশিয়াকে। বর্তমানে দেশটিতে প্রতিদিনই ২০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতিতে ভয়ানক অশনি সংকেত শোনালো বিশ্বের প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম পীঠস্থান হিসেবে চিহ্নিত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভ্যাকসিন বা করোনার চিকিৎসা না বেরুলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ মানুষ এই কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া আগামী মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গোটা বিশ্বে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন এবং প্রাণ হারাতে পারেন ১৮ লাখ মানুষ।

এই অশনি সংকেতের মধ্যেই ভারতে চলতি সপ্তাহে দিনে গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৬ জন। এছাড়া দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ হাজার ১২৮ জন।

এখনো পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। দেশটিতে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশ। এই পাঁচ রাজ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে।

এদিকে ভারতে সংক্রমণ যখন লাফিয়ে বাড়ছে, তখন উদ্বেগের কথা শুনিয়েছে বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমআইটি। ৮৪টি দেশের বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে এমআইটির স্লোয়ান স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট। সেই সমীক্ষা রিপোর্টটির নাম দেওয়া হয়েছে, 'এস্টিমেটিং দ্যা গ্লোবাল স্প্রেড অব কোভিড-১৯'।

সেখানে বলা হয়েছে, এখনই কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা না বেরুলে ভারতে দিন দিন বাড়তে থাকবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যা আগামী বছর ওই সময় আমেরিকায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হবে ৯৫ হাজার মানুষ। তারা আশঙ্কা করছেন, আগামী আট মাসে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আমেরিকাতে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখা দেবে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যত বেশি পরীক্ষা হবে, ততই সংক্রমণ রোখার কাজটা সহজ হবে। তবে গবেষকদের মতে, করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় গোটা বিশ্বেই গলদ রয়েছে। তারা মনে করেন, গোটা পৃথিবীতে বর্তমানে মোট আক্রান্তের ১২ গুণ বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এবং মোট মৃত্যুর ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।