ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

করোনা পরিস্থিতিতে সাদামাটাভাবে ঈদের প্রস্তুতি চলছে ত্রিপুরায় 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে সাদামাটাভাবে ঈদের প্রস্তুতি চলছে ত্রিপুরায়  করোনা পরিস্থিতিতে সাদামাটাভাবে ঈদের প্রস্তুতি চলছে ত্রিপুরায়। ছবি- বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগামী ১ আগস্ট উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। দিনটি ঘিরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে নানান প্রস্তুতি চলছে।

ঈদের জামাত আদায়ের কথা মাথায় রেখে মসজিদগুলোকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এরই মাঝে অনেক মসজিদে আলোকসজ্জাও করা হয়েছে। ত্রিপুরার প্রাচীন ও সবচেয়ে বড় মসজিদ চিত্তরঞ্জন এলাকার গেদু মিয়ার মসজিদসহ রামনগর মসজিদ, ইন্দ্রনগর জামে মসজিদ ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মসজিদে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।  

তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্য বছরের তুলনায় এবারে অনেকেটা সাদামাটাভাবে ঈদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে চিন্তিত মসজিদ কমিটির সদস্যরাও।  

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ইন্দ্রা নগর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মুসলিমদের কাছে কুরবানির ঈদ হচ্ছে অন্যতম বড় একটি উৎসব। এদিন মুসলিমরা ঈদগা ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন ও সাধ্য মতো পশু কোরবানি দেন। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে এসব আয়োজন নিয়ে আমরা চিন্তিত। মসজিদ কমিটির তরফে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে। তবে শেষ মুহূর্তে সরকার যদি নতুন কোনো নীতিমালা জারি করে, সেই অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

রাজ্যের রাজধানী আগরতলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা শাহবাজ খান বাংলানিউজকে জানান, একদিকে করোনা, তার ওপর চলছে তিন দিনব্যাপী লকডাউন। ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ লকডাউন। লকডাউনের কারণে ঈদের কেনাকাটা কিছুই করা সম্ভব হয়নি। লকডাউন শেষ হলে হাতে থাকবে মাত্র একদিন। এই একদিনের মধ্যেই সব কেনাকাটা সারতে হবে। তবে বিশ্বজুড়ে চলতে থাকা এই করোনা অতিমারির কারণে ঈদ যে সীমিত পরিসরে করতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রতি বছর কোরবানির ঈদ ঘরে রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার বক্সনগর এলাকায় রাজ্যের সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসে। কিন্তু এ বছর হাটের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি করোনার কারণে। এ নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
এসসিএন/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।