ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারত

ত্রিপুরায় মিশ্র ফসল চাষে আগ্রহ বেড়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
ত্রিপুরায় মিশ্র ফসল চাষে আগ্রহ বেড়েছে

আগরতলা (ত্রিপুরা): কৃষকদের আয় যাতে দ্বিগুণ হয় সে জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর।
এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের দক্ষিণ জেলার অন্তর্গত চড়কবাই গ্রামপঞ্চায়েত এবং সুভাষ কলোনি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার মোট ১৭ কৃষককে প্রথম পর্যায়ে ড্রাগন ফল চাষের ব্যবস্থা করে দেওয়া।

স্থানীয় বগাফা এলাকার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সুজিত কুমার দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মহাত্মাগান্ধী রাষ্ট্রীয় গ্রামীণ রোজগার যোজনার (এম জি এন রেগা) অধীনে এসব কৃষককে বাগান করে দেওয়া হয়েছে।

বাগানে প্রথম ড্রাগন ফল ধরতে প্রায় তিন বছর সময় লেগে যায়। সে সময় যাতে চাষীরা ওই জমিতে অন্য ফসল ও সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন সেজন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। কৃষকদের তরমুজ, ডাল জাতীয় শস্য চাষের পরামর্শ দিয়েছেন। এই অন্তবর্তীকালীন সময়ে ফসল চাষের জন্য এসব কৃষককে আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে চার হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকরা দারুণ উৎসাহিত হয়েছেন এবং দুটি ড্রাগন গাছের মধ্যে খালি জায়গায় তরমুজ, পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি চাষ করছেন।

এমনই একজন সুবিধাভোগী কৃষক চড়কবাই গ্রামপঞ্চায়েত মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাসু কর্মকার। তিনি জানান, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর থেকে তাকে জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তরমুজ বীজ ও পেঁপে চারা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তরমুজের ফলন শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেই তরমুজ তুলে বাজারে বিক্রি করা যাবে।

সাধারণত রাজ্যে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে তরমুজ চাষ হয়। কিন্তু অসময়ে তরমুজ চাষ হওয়ায় খুশি বলে জানান বাসু কর্মকার। আশা করছেন এসব তরমুজ ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। পাশাপাশি দপ্তর থেকে দেওয়া পেঁপে গাছও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে। কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের অনেক সহযোগিতা করছেন। তাদের এই চাষ দেখে উৎসাহিত হয়েছেন এলাকার অন্যান্য চাষীরা। তারাও এখন সরকারি সহায়তা নিয়ে এভাবে মিশ্র চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সুজিত কুমার দাস বলেন, কৃষকরা যাতে আরও বেশি করে ফসল ফলানোয় আগ্রহী হয়- এটাই তাদের অন্যতম লক্ষ্য। আগামী দিনে আগ্রহী চাষীরা  যাতে সরকারি সুযোগ সুবিধা পায় সে জন্য তারা চেষ্টা করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১।
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।