ঢাকা, সোমবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জুন ২০২৪, ১৬ জিলহজ ১৪৪৫

ভারত

বিরোধীদের আপত্তির মুখেও ভোটের দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
বিরোধীদের আপত্তির মুখেও ভোটের দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ

কলকাতা: কলকাতা করপোরেশন ভোট আগামী ১৯ ডিসেম্বর। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কার হাতে যাবে- পুলিশ নাকি কেন্দ্রীয় বহিনী এই নিয়ে জোর তরজা ছিল।

তবে পুলিশের হাতেই থাকবে ভোটের আইনশৃঙ্খলার কাণ্ডারির দায়িত্ব, তা জানিয়ে দিল রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। বসে নেই রাজ্য পুলিশ। ভোটের দিন শহরে যাতে গোলমাল না হয় তার জন্য তৎপর কলকাতা পুলিশ। ফলে শহরের স্পর্শকাতর স্পটগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় এবার মোট বুথের সংখ্যা হবে ৪ হাজার ৭৪২টি।

পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে একুশের করপোরেশন ভোটে গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ, ওয়াটগঞ্জ এবং বন্দর এলাকার একাধিক বুথকে অতি স্পর্শকাতরের তালিকায় রাখা হয়েছে। এরপরেই রয়েছে বেহালা এলাকার একাধিক বুথ। পাশাপাশি তিলজলা, তপসিয়া, কসবা এবং যাদবপুরেও এবার বিক্ষিপ্ত অশান্তি হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। সেখানে নির্বাচনের আগে থেকেই বহিরাগতদের উপস্থিতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা। পুলিশের পুর্ব অভিজ্ঞতা মতে, ২০১০ এবং ২০১৫ সালের করপোরেশন ভোটের দিনে অশান্তির দিক থেকে এলাকাগুলির নাম শিরোনামে উঠে এসেছিল। ফলে বুথের তালিকা ধরে ধরে ওই সব এলাকার স্পর্শকাতর এবং অতি স্পর্শকাতর, এই দুই ভাগে ভাগ করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্তাদের নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, ভোটের দিন শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে মোতায়েন থাকবেন ২৩ হাজারের বেশি পুলিশ। ৭৮টি কুইক রেসপন্স টিমের (কিউআরটি) পাশাপাশি রাখা হচ্ছে ৩৫টি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড। এছাড়া থাকবে ৩৫টি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। রাখা হবে, ৭৮টি কুইক রেসপন্স টিম। ২৮৬টি সেক্টরে অতি সশস্ত্রবাহিনি পুলিশ। থাকবে ৭২টি রিমোর্ট টেক্যনিকাল ভ্যান। পাশাপাশি ভোটের দিন প্রতিটি বুথে রাজ্য পুলিশের ২ জন করে সশস্ত্র কর্মী থাকবেন বলেও জানানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি ২৫ শতাংশ বুথে ভিডিওগ্রাফি অথবা সিসিটিভি ক্যামেরার বন্দোবস্ত থাকবে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও ভোট সুষ্ঠ এবং শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ী বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি ইতিমধ্যেই তুলেছে তারা। এই সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, গত ভোটে, ৩২ হাজার পুলিশ এবং তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন রক্তপাতশূন্য হয়নি। তাই এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

এই দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও করেছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দল। যদিও রাজ্য পুলিশেই আস্থা নির্বাচন কমিশনের। ফলে ভোটে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সামলাবেন রাজ্যের পুলিশকর্মীরাই বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। বৃহস্পতিবার ( ৯ ডিসেম্বর) কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বলে দিয়েছেন, ‘এবারের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শান্তিতেই সম্পন্ন হবে। কারণ শহরবাসীকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে কলকাতা পুলিশ বদ্ধপরিকর। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
ভিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।