ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মমতার উদ্যোগে দুয়ারে ঈদের খাবার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২২
মমতার উদ্যোগে দুয়ারে ঈদের খাবার 

কলকাতা: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঘরে বসে পাওয়া যাবে সুস্বাদু খাবার। ফ্রি হোম ডেলিভারিতে ৪২৫ রুপিতে মিলবে লাঞ্চ ও ডিনার।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ঈদের থালিতে রয়েছে—লখনৌ চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, ৪ পিস মালাই চিকেন কাবাব, ৪ পিস হরিয়ালি (সবুজ) চিকেন কাবাব, ১০০ গ্রাম দুধ সেমাই। এছাড়াও চিকেনের আরও দুই-এক ধরনের পদ রয়েছে। তবে তা পাতে যোগ করতে হলে করতে হবে বাড়তি ব্যয়।

কলকাতায় যে বিরিয়ানির সবচেয়ে চল, তা হলো লখনৌ বিরিয়ানি। রাজ্য সরকার যে বিরিয়ানি দিচ্ছে তাতে আছে—এক পিস আলু, এক পিস ডিম, এক পিস চিকেন। যা একজনের জন্য যথেষ্ট। অর্ডার নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অর্ডার দেওয়া যাবে।

তবে শহরের প্রতিটা উৎসব অনুযায়ী মেন্যু চেঞ্জ হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা, দীপাবলি, ভাইফোঁটা, রথ উৎসবে নিরামিষ ও আমিষ থালি। বাঙালির নববর্ষে থাকে নানান পদ। আবার ইলিশ উৎসবে থাকে নানান স্বাদের রান্না করা ইলিশ। সব উৎসবেই রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ‘কমপ্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ রান্না করা খাবার ফ্রি হোম ডেলিভারিতে দিয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, উৎসবে মানুষকে যাতে বাইরে বেরিয়ে খেতে যেতে না হয়, তাই এই ব্যবস্থা। এক মাস রোজা থাকার পর ঈদে সারাদিন সবাই ব্যস্ত থাকেন। হয় বাসায় রান্না করতে হয়, নচেৎ বাইরে গিয়ে খেতে হয়। আমাদের পরিকল্পনা বাসায় বসে আনন্দ করুন এবং পরিবারের সঙ্গে বাসায় বসে খাবার উপভোগ করুন। সব বয়সের কথা ভেবে আমাদের রান্না অনেকটা বাসার মতোই। যাতে সবাই খেতে পারে। যাকে বলে একেবারে সুষম আহার। সবটাই আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। পাশাপাশি বাড়িতে ফ্রি হোম ডেলিভারি করছি। তাই মানুষের চাহিদা বেশি।

কলকাতায় এক মুসলিম পরিবারের সদস্য শাকিল বলেন, ঈদের আগের রাত সবাই কমবেশি জেগে থাকে। এরপর সকালের নামাজ। ঈদের দিন প্রতি পরিবার বাসায় নানান ধরনের সেমাই বানিয়ে থাকে। কিছু নিজেদের জন্য বাকি অন্যদের বিলোনোর জন্য। এই করতেই দিন চলে যায়। ফলে খাবারের বিষয় বেশির ভাগ মানুষই রেস্তোরাঁর ওপর নির্ভরশীল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ অনেক ভালো। দামও সাধ্যের মধ্যে, খাবারও ঘরোয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।