ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারত

ল্যান্ডফল হতে পারে বাংলাদেশে, সিত্রাঙ্গের প্রভাব পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
ল্যান্ডফল হতে পারে বাংলাদেশে, সিত্রাঙ্গের প্রভাব পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আগের স্তরে রয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হলে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষে বয়ে যেতে পারে।

এতে ল্যান্ডফল হতে পারে বাংলাদেশে। ফলে যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ভারতের দীপাবলিতে ততটা দুর্যোগের সম্ভাবনা কম। শনিবার (২২ অক্টোবর) রাতে এমনই আশার কথা জানিয়েছে কলকাতা আবহাওয়া দফতর।

মুলত, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে খুব বেশি দূরে নয় নিম্নচাপটি। ক্রমশ দক্ষিণ-পূর্ব ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়ছে এটির। কলকাতা আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) আরও ঘনীভূত হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে রূপ নেবে।

তারপর সোমবার ভারতে দীপাবলির দিনে এটি ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং ২৫ তারিখ বাংলাদেশ উপকূল পার বা বাংলাদেশে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড়টি।

তবে এর প্রভাব পড়বে কি পশ্চিমবঙ্গে? সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে সুন্দরবন লাগোয়া উপকূলবর্তী অঞ্চলে।

এর জেরে আগামী ২৪ ও ২৫ তারিখ মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলোয়। ২৪ তারিখ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে রাজ্যের দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে। ২৬ তারিখ থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।

তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট নয়। এ কারণে সতর্ক আছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সে কারণে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত হচ্ছে মমতার প্রশাসন।

রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন সূত্রে জান গেছে,  বিভিন্ন জেলায় নজরদারি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ জন পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্তাদের। প্রতি জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। সেই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২৪ তারিখ কালীপূজা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিল্লির মৌসুম ভবন থেকে থেকে দুর্যোগ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছ রাজ্যকে। সে কারণেই বাড়তি তৎপরতা দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

ইতোমধ্য উপকূল থেকে লোকদের সরানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের ২৩ তারিখ থেকে সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সিত্রাং আগামী ২৪ ২৫ তারিখে রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক আছে প্রশাসন। সব জেলায় সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। যে কোনো প্রয়োজনে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন ওই কন্ট্রোল রুমে।

পাশাপাশি বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে বাইরে কেউ বের হবেন না। ঝড় থেমে গেলেও অন্তত দু'ঘণ্টা বাড়িতেই থাকুন। বৃষ্টিতে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়লে এবং আকস্মিক বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পানিতে পড়লে দ্রুত রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর অথবা কন্ট্রোলরকে জানাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝড় মোকাবিলা করতে আরও একাধিক প্রয়োজনীয় বিধি উল্লেখ করেছে মমতার সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।