ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

সাধারণরা কবে থেকে তফসিলি হলো, প্রশ্ন হাইকোর্টের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
সাধারণরা কবে থেকে তফসিলি হলো, প্রশ্ন হাইকোর্টের

কলকাতা: মঙ্গলবার সকালেই উচ্চ প্রাথমিকের কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, এ বিষয়ে দায়ের হওয়া মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্যের স্কুলসার্ভিস কমিশন (এসএসসি)।

৭৫০টি শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপে না নিতে বলেছেন আদালত। পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এই মামলার শুনানিতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যও করেছেন বিচারপতি। কীভাবে জাতিগত সংরক্ষণের তালিকায় দত্ত, ভৌমিক ইত্যাদি পদবির চাকরিপ্রার্থীদের অন্তর্ভুক্তি হলো, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি) প্রশ্ন করেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকের কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কমিশন। ২০১৭ সালে জুন মাসে কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার পর ২০১৮ সালে মার্চে পার্সোনালিটি টেস্ট (ইন্টারভিউ) নেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর শারীরিক শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। চলতি বছর ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষার বিষয়ে অপেক্ষারতদের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নোটিশ দিয়ে জানায়, ১০ এবং ১১ নভেম্বর অপেক্ষারতদের তালিকায় থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হবে।

তালিকায় নিজের নাম না পেয়ে মামলা করেন তফসিলভুক্ত সোমা নামের এক চাকরিপ্রার্থী। তার বক্তব্য, ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে অপেক্ষারতদের তালিকা প্রকাশ করে হয়েছে তাতে তার নাম নেই। তিনি ৭২ নম্বর পেয়ে চাকরি না পেলেও ৫৬ নম্বর পেয়ে অন্য ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন।

সোমার দাবি, তিনি পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে ৭২ নম্বর পেয়েছেন। অ্যাকাডেমিক স্কোরে তার পুরো নম্বর যোগ করা হয়নি। নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেই গড়মিল রয়েছে বলে মনে করেন সোমা।

তার আইনজীবীর অভিযোগ, কমিশনের তৈরি অপেক্ষারতদের তালিকায় এমন ৬০ জন চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর তার মক্কেলের থেকে কম। অথচ সোমার নাম নেই। ফলে গড়মিল রয়েছে এসএসসির তরফে। কমিশনের পাল্টা যুক্তি হলো যে ৬০ জনের কথা বলা হচ্ছে তারা প্যারা টিচার (পার্শ্ব শিক্ষক)। ফলে তাদের ‘বিশেষ যোগ্যতা সংরক্ষণে’র আওতায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

যদিও এসএসসি-র এই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি। আদালত বলেন, ‘তথ্য বলছে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের নামও ঢোকানো হয়েছে। ওই তালিকায় দত্ত, ভৌমিক ইত্যাদি পদবির চাকরিপ্রার্থী আছেন। কী বিশেষ যোগ্যতা রয়েছে ওই প্রার্থীদের? আপনি কি বলতে চাইছেন ভৌমিক পদবি তফসিলি জাতিভুক্ত?’

বিচারপতি আরও বলেন, ‘আপনারা এসব করেই হয়রানি করছেন চাকরিপ্রার্থীদের। ‘

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।