ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বিজেপিকে ঠেকাতে ২৪ সালে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হবে: শত্রুঘ্ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
বিজেপিকে ঠেকাতে ২৪ সালে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হবে: শত্রুঘ্ন তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা -ফাইল ছবি

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত):  ২০২৪ সালে ভারতের জাতীয় (লোকসভা ভোট) নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ‘গেম চেঞ্জার’ হবেন বলে মনে করেছেন তৃণমূল সাংসদ, অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।

সম্প্রতি ভারতের এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই।

আজ কারো সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না মানেই আগামীকাল একই অবস্থা থাকবে- এমনটা নয়। ভারতের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে যাবে। সে কারণে তিনি মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হবে।

কিন্তু সব বিরোধী দল এক হলে, বারেবারে প্রশ্ন ওঠে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? এ বিষয়ে অভিনেতার মন্তব্য, ভারতের আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশবাসী সঠিক নেতাকেই বেছে নেবেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনের আগে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী এই প্রশ্নটি ওঠে। একবার শীর্ষে পৌঁছালে, আসন সংখ্যা এবং জনপ্রিয়তার নিরিখে এটি নির্ধারণ করা হবে। দেশ কখনোই থেমে থাকে না, সরকার পরিবর্তন হতে থাকে এবং নতুন নেতৃত্ব আসে।

প্রসঙ্গত, এই অভিনেতা রাজনীতিবিদ, অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। চলতি বছর বাবুল সুপ্রিয়ো বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আসানসোলে উপ-নির্বাচন হয়। তৃণমূলের টিকিটে আসানসোল থেকে জয়ী হন শত্রুঘ্ন সিনহা।

গত সপ্তাহেই সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ‘নিখোঁজ’ বলে  পোস্টার লাগানো হয়েছিল আসানসোলে। তা নিয়ে শত্রুঘ্ন বলেন, উপ-নির্বাচনের পরাজয় বিজেপি এখনো হজম করতে পারেনি। দুর্গাপূজার সময় আমার নির্বাচনী এলাকায় ছিলাম। নিয়মিত আমার আসানসোলে থাকা হয়, আমার বিশ্বাস মানুষ এই মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে জবাব দেবে।

শত্রুঘ্ন সিনহা মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কার্নাটক, কেরালার মতো রাজ্যগুলিতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আগের তুলনায় শক্তি অনেক বেড়ছে। তার একটা প্রভাব পড়বে বাকি রাজ্যগুলোতেও।

আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুজরাটে ‘কিংমেকার’ হিসেবে আবির্ভূত হবেন। গুজরাটে বিজেপির হাওয়া মন্দা। বিজেপি প্রতিবার হিন্দুত্ব ইস্যুকে সামনে রেখে জিততে পারবে না।

এছাড়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মাধ্যমে তার (রাহুল) নেতৃত্বের ক্ষমতা প্রমাণ করেছেন। দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারীতে শুরু হওয়া রাহুলের ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রার ফল আগামী লোকসভা নির্বাচনে পাবে।

তার মতে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চমৎকার সাড়া পাচ্ছে। এর সুফল আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আসনসংখ্যা দ্বিগুণ করতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।