ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩২, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭

ভারত

গাছপালার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গড়ে উঠেছে ‘প্ল্যান্ট ব্যাংক’

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৯, নভেম্বর ২৭, ২০২২
গাছপালার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গড়ে উঠেছে ‘প্ল্যান্ট ব্যাংক’

আগরতলা (ত্রিপুরা): সময়ের বিবর্তনে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নানা গাছ। এসব গাছ সংরক্ষণে ভারতের ত্রিপুরায় ব্যাংক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

মূলত, ওষুধি গুণ রয়েছে এমন সব গাছ দিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে এ প্ল্যান্ট ব্যাংক।

রাজ্যের গোমতী জেলার বারোভাইয়া এলাকায় ২০২১ সালে দুই হেক্টর জমির ওপর প্ল্যান্ট ব্যাংকটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এখানে প্রায় ১২৫ জাতের গাছ লাগানো হয়েছে। ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিল এটি গড়ে তুলেছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অঞ্জন সেনগুপ্ত।

তিনি বলেন, ‘সময়ের বিবর্তনে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষ তাদের চিরাচরিত জুম চাষ কমিয়ে আনছেন। এর ফলে জুমের বহু ফসল প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। এসব ফসলের বীজগুলো সংগ্রহ করে এখানে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ’

‘ব্যাংকটি তৈরির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- হারিয়ে যেতে বসা গাছগুলো সংরক্ষণ করা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গবেষকরাও এখানে এসে গবেষণা করতে পারবেন। এ প্ল্যান্ট ব্যাংক থেকে কৃষিসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কৃষকরাও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। ’

এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, এ প্ল্যান্ট ব্যাংক থেকে বিভিন্ন গাছের চারা উৎপাদন করে সেগুলো আবার রাজ্যসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কলেজ অব এগ্রিকালচার এ কাজের সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কলেজ অব এগ্রিকালচারের সরকারি অধ্যাপক ড. ত্রিদিপ ভট্টাচার্য জানান, ইতোমধ্যে এখানে ৪০ জাতের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আম-ই রয়েছে ১৩ জাতের। আগামীতে আরও নানা জাতের ফল গাছ লাগানো হবে।

প্ল্যান্ট ব্যাংকে কর্মরত টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট লিটন সূত্রধর জানান, এখানে প্রতিটি জিনিসই তারা কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে। বিশাল এ বাগানে আগাছা ঘাস-লতা জন্ম নেয়। সেগুলো দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব সার, যা বাগানের ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
এসসিএন/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।