ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ট্রেনিং সেন্টার থেকে স্টার্টআপ যাবে সিলিকন টাওয়ারে

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
ট্রেনিং সেন্টার থেকে স্টার্টআপ যাবে সিলিকন টাওয়ারে সিলিকন টাওয়ার

রাজশাহী থেকে ফিরে: আবেদনের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে ১০টি স্টার্টআপ ও আইটি প্রতিষ্ঠানকে। শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে এক বছরের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের স্থান বরাদ্দ দেওয়া হবে জয় সিলিকন টাওয়ারে।

রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাইটেক পার্ক নিয়ে এমনই পরিকল্পনা বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের।

সম্প্রতি রাজশাহী শহরে হাইটেক পার্কটি ঘুরে দেখা যায়, শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ। কাজ চলছে ১০তলা বিশিষ্ট সজীব ওয়াজেদ জয় সিলিকন টাওয়ারেরও।

ইনকিউবেশন সেন্টারটিতে এরইমধ্যে ১০টি আইটি প্রতিষ্ঠানকে অফিস স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু করেছে ছয়টি প্রতিষ্ঠান। এগুলোর সঙ্গে স্টার্টআপ আইডিয়া পিচিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাইকৃত নতুন ১০টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ ও অন্য সহায়তা দেওয়া হবে। সেগুলো থেকে যারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে তাদেরসহ সবাইকে অফিস স্পেস দেওয়া হবে জয় সিলিকন টাওয়ারে।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের একান্ত সচিব ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস ডেস্কের প্রধান সমন্বয়ক কল্যাণ কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রথমে ১০টি স্টার্টআপকে বাছাই করবো। এর জন্য আমাদের একটি ‘জাজেস প্যানেল’ আছে। এ প্যানেলে দেশের বরেণ্য শিক্ষক, আইটি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও সরকারের প্রতিনিধিরা আছেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ২২ ডিসেম্বর। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

ইনকিউবেশন সেন্টারের মূল কাজ নিয়ে কল্যাণ কুমার বলেন, ডিমে তা দিয়ে যেমন বাচ্চা বের করা হয়, তারপর সেটিকে বড় করা হয়, তেমনি ইনকিউবেশন সেন্টারে তরুণ আইটি পেশাজীবীদের সেভাবে গড়ে তোলা হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, গ্রুমিং করা হবে, সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠিত আইটি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে। মোট কথা তারা যেন সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, উদ্যোক্তা হিসেবে তারা যেন দক্ষ হয় তার জন্য সবকিছুই করা হবে। এখান থেকে যারা সফল হবে তাদের পরের ধাপে হাইটেক পার্কের মূল অংশ জয় সিলিকন টাওয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাদের ব্যবসার জন্য অফিস স্পেস দেওয়া হবে।


এ প্রতিযোগিতায় আবেদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম বিনতে শওকত বাংলানিউজকে বলেন, এরইমধ্যে ৮৭টি আবেদন এ প্রতিযোগিতায় জমা পড়েছে। এখানে কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা কোনো একক ব্যক্তিও আবেদন করতে পারবেন। একক ব্যক্তির বয়স কমপক্ষে ১২ বছর হতে হবে। তবে দেশের আইটি বা আইসিটি খাতে এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এতে আবেদন করতে পারবে না। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুনদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।  

রাজশাহী ও এর আশপাশের জেলার তরুণদের আইটি ক্যারিয়ারে উৎসাহিত করতেই এ আয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে রাজশাহীর বাইরে থেকেও আবেদকারীরা অংশ নিতে পারবেন।  

তাসনিম শওকত বলেন, অত্র রাজশাহী অঞ্চল শিল্পায়নের দিক থেকে বরাবরেই মতো পিছিয়ে আছে। এখানকার তরুণদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পর আমরা ভালো কোনো জব অফার করতে পারি না। এখানে হাইটেক পার্ক হওয়াতে এখানকার তরুণ-তরুণীরা আইসিটি খাতে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন। আমরা চাই এ প্রতিযোগিতায় এখানকারই বেশি আবেদন পড়ুক। তবে প্রথমবারের আয়োজনেই তো এমনটা হবে না। তাই সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তবে বছর বছর এমন আয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে এখানকার তরুণরাও আইটি খাতের প্রতি আগ্রহী হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
এসএইচএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।