ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

১০ মাসে ৩৯০০ কিলোমিটার হেঁটে আল-আকসা মসজিদে ফরাসি যুবক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
১০ মাসে ৩৯০০ কিলোমিটার হেঁটে আল-আকসা মসজিদে ফরাসি যুবক

১০ মাসে হেঁটেই দীর্ঘ ৩৯০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে পৌঁছেছেন ফরাসি মুসলিম যুবক নিল ডক্সোইস। সেখানে পৌঁছানোর পর অনেক ফিলিস্তিনি তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ২৬ বয়সী এ যুবক পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে পৌঁছানোর জন্য ১০ মাস আগে ফ্রান্স থেকে হেঁটে রওনা হন।

তিনি তার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তুরস্কসহ ১০টি দেশ অতিক্রম করেছেন।

ডক্সোইস ইতালি, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো, আলবেনিয়া, গ্রীস, সাইপ্রাস ও জর্ডানের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করেন। তিনি আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, তার দুঃসাহসিক কাজ কখনও কখনও ভালো, কিন্তু কখনও কখনও খুব কঠিন।

 

মুসলিম যুবক তার ভ্রমণের সময় বিভিন্ন দেশের লোকজনের আতিথেয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, যখন আমি তুরস্ক ছিলাম, তখন সেখানকার মানুষ আমাকে সহায়তা করেছেন। তারা অনেক অতিথিপরায়ণ ও দয়ালু।

তিনি আরও বলেন, আমি চলতি পথে অনেক জায়গায় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম, সেখানকার লোকদের সহায়তা ছাড়া গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না।

ডক্সোইস বলেন, ঠান্ডা আবহাওয়ায় নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময় কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম। স্থানীয়দের সহায়তায় একা একা আমি নিরাপদে অনেক জায়গার মধ্য দিয়ে যেতে পেরেছি। এজন্য স্থানীয় লোকদের ধন্যবাদ। আমি তাদের ছাড়া এটা করতে পারতাম না।

ডক্সোইসের যাত্রার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে, সমস্ত বয়সের ফিলিস্তিনিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাদের দেওয়া সংবর্ধনায় তিনি বিস্মিত হন।

তিনি বলেন, সেখানকার মানুষ আমাকে আন্তরিক আতিথেয়তায় স্বাগত জানিয়েছেন। আমি সেখানে পৌঁছে খুব খুশি হয়েছিলাম। এ আনন্দ আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এখানে অনেক ফিলিস্তিনি আমাকে তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ডক্সোইস তার সাহসিক কাজের জন্য তার পরিবারের সমর্থনের কথাও বলেন।

তিনি বলেন, আমার মা চিন্তিত ছিলেন কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে আমাকে দেখার পর, তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তিনি আমার জন্য গর্বিত।  

তিনি বলেন, আমি চার বছর আগে আল-আকসা মসজিদে গিয়েছিলাম। আমি এখানকার পরিস্থিতি জানি। আমার অনেক ফিলিস্তিনি বন্ধু আছে যারা এ জায়গায় যেতে পারে না।

তিনি বলেন, আমার পরবর্তী লক্ষ্য দেড় মাসের মধ্যে মক্কায় হজে যাওয়া। সৌদি আরবের লোকজনও আমাকে অনুসরণ করছে। আমি আমার পরবর্তী যাত্রায় তাদের সাহায্য পেতে চাই।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।