ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মোখায় মিয়ানমারে মৃত্যুর নতুন সংখ্যা জানাল জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
মোখায় মিয়ানমারে মৃত্যুর নতুন সংখ্যা জানাল জান্তা

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা। মোখা তাণ্ডবের ৬ দিন পর সেই বিবৃতিতে পরিবর্তন এনেছে তারা।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে জান্তা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৫ জন মানুষ। নিহতদের মধ্যে ৯১ জনই রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু। তারা রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান করছিলেন। এদের মধ্যে ২৪ জন স্থানীয় এবং ১১৭ জন রোহিঙ্গা। নিহতদের তালিকায় চারজন সেনা সদস্য রয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ মে) জান্তা নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে জান্তার এ দাবি যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যম। প্রকৃত নিহতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। মোখায় রাখাইন প্রদেশে মৃতের সংখ্যা চার শতাধিক বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে সেখানের কয়েকজন বাসিন্দা।  

তারা জানিয়েছেন, মোখা সরে যাওয়ার পর রাখাইনের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে ৪ শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ আছেন বহু মানুষ।  

রোহিঙ্গা গ্রামের একজন নেতা এএফপিকে বলেছিলেন, ঝড়ের পর শুধুমাত্র তার গ্রাম থেকেই ১০০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

ঝড়ের পর রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছাকাছি এলাকার আরেক রোহিঙ্গা নেতা এএফপিকে বলেছিলেন, শহরের আশপাশে কমপক্ষে ১০৫ জন রোহিঙ্গা মারা গেছেন, এ সংখ্যা আরও বাড়বে। গণনা এখনও চলছে।

শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টিতে মিয়ানমারে অন্তত ৮ লাখ মানুষকে জরুরি খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার প্রয়োজনে ফেলেছে।

ডব্লিউএফপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপ-পরিচালক অ্যান্থিয়া ওয়েব সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি এতোই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে, লাখ লাখ লোকের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করতে লড়াই করছে তারা।

বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা গত ১৩ মে  মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এসময় রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের গতিবেগঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল। এতে ঝড়-বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিতওয়েসহ বিভিন্ন অঞ্চল। ভূমিধস ঘটে, গাছ উপড়ে পড়ে, ভবন ধসে পড়ে এবং রাস্তাগুলো ভেঙে যায়।

তথ্যসূত্র: ফ্রান্স২৪

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।