রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়েছেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের ভাড়াটে যোদ্ধারা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই প্রিগোজিন শনিবার (২৪ জুন) রুশ সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়েছেন।
এরই মধ্যে রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন শহরে ঢুকে সেনা সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ারও দাবি করেছেন তিনি। এ অবস্থায় পুতিন কোথায় অবস্থান করছেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে পুতিন পালিয়েছেন। খবর: বিবিসি
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিন মস্কোতে ক্রেমলিনে কাজ করছেন। তবে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বিশেষ বিমানে ইতোমধ্যে মস্কো ত্যাগ করেছেন।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোরের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ব্যবহারকারী পুতিনের বিশেষ বিমান আইআই-৯৬-৩০০পিইউ রাশিয়ার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে মস্কো ছেড়েছে বলে দাবি করেছেন।
তারা বলেছেন, পুতিনকে বহনকারী বিমান মস্কোর উত্তর-পশ্চিমের দিকে চলে গেছে। বিমানটি মস্কোর উত্তর-পশ্চিমের তেভার শহরে পৌঁছানোর পর রাডার থেকে উধাও হয়ে যায়।
বিবিসি বলছে, ওই বিমানে পুতিন ছিলেন কি না তা জানার কোনো উপায় নেই। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে লেক ভালদাইতে অবস্থিত বিশাল বাসভবনে প্রায়ই সময় কাটান এবং রাজধানীতে স্থায়ীভাবে থাকেন না তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ভাইসগ্রাড টোয়েন্টিফোর নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্লাইটরাডারে পুতিনের বিশেষ বিমানের মস্কোর ত্যাগের একটি স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করেছে। এতে বলা হয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গের উদ্দেশে মস্কো ত্যাগ করেছে পুতিনের বিমান। ওয়াগনার গ্রুপের সামরিক বহর এগিয়ে আসায় তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে।
এর আগে, পুতিনের পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ভাড়াটে যোদ্ধাদের গ্রুপটির প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিন জানিয়েছেন, তার বাহিনীর ওপর মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মস্কো এবং এর কঠিন প্রতিশোধ নেওয়া হবে। রুশ নেতৃত্বকে তারা ক্ষমতাচ্যুত করে ছাড়বেন। এই পথে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদেরও ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
জেডএ