অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইসরায়েলিরা বলছে যতদিন প্রয়োজন, ততদিন অভিযান চলবে।
জেনিন থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক অ্যালান ফিশার এমনটি জানিয়েছেন। এই সামরিক অভিযানে অন্তত ৮ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অ্যালান ফিশার বলেন, অভিযান যে শেষ হবে, সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যতদিন ধরে অভিযান চালানো প্রয়োজন, ততদিন পর্যন্ত অভিযান চলবে।
তিনি বলেন, আমাদের বলা হয়েছে যে, এলাকার একটি মসজিদ, সেখানেই সবচেয়ে বেশি লড়াই হয়। ইসরায়েলিরা বলছে, ১০ জন যোদ্ধা
ইসরায়েলিরা বলছে, ওই এলাকার একটি মসজিদে দশজন যোদ্ধাকে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে সবচেয়ে বেশি লড়াই হয়।
তাদের ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি তাদের সতর্ক করা হয়েছে। তারা যদি ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে ধরা না দেয়, তবে তাদের মাথার ওপর মসজিদের ছাদ ফেলে দেওয়া হবে।
ফিশার বলেন, আমাদের আরও বলা হয়েছে যে, জেনিন শরণার্থী শিবিরেরে কেন্দ্রে তীব্র লড়াই হয়েছে, সেখানে সশস্ত্র যোদ্ধারা রয়েছেন, যারা ইসরায়েলিদের প্রতিহত করতে আইইডি (বিস্ফোরক ডিভাইস) ব্যবহার করছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় তার মন্ত্রিসভাব সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা একটি ভবনে আঘাত করেছে যেটি জেনিন ব্রিগেডের যোদ্ধাদের কমান্ড সেন্টার হিসেবে কাজ করেছিল।
জেনিন পৌরসভা ঘোষণা করেছে যে, চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে শরণার্থী শিবিরে বিদ্যুৎ ও পানি সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জর্ডান ও মিশর ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে নিহতদের নামের তালিকা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতরা হলেন, নূর এল-দিন হুসাম মারশুদ, মাজদি আরারাওয়ি, আলি হানি আল-ঘোল, হুসাম মোহাম্মদ আবু থিবা, হানি হানুন, সামিহ ফিরাস আবু আল-ওয়াহা, আহামাদ মোহাম্মদ আমের, মোহাম্মদ মুহান্নাদ আল-শামি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
আরএইচ