ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
ভারতের পাশাপাশি চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের শীর্ষনেতারা ছিলেন।
এই বৈঠকেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফ নাম না করে একে অন্যকে আক্রমণ করেন।
পাকিস্তানের নাম না করে মোদি বলেন, কিছু দেশ তো সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে তাদের নীতি হিসেবে নেয়। এসসিওর উচিত এই ধরনের দেশের সমালোচনা করা। কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দিচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, স্পষ্ট ও দ্বিধাহীনভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করতে হবে। কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ বরদাশত করা যাবে না। এসসিও দেশগুলো তাদের অঞ্চলে শান্তি ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে।
শরিফ বলেন, সন্ত্রাসবাদ হলো বহু মাথাওয়ালা দানব। সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। কূটনৈতিক লাভের জন্য সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ তোলার লোভ ছাড়তে হবে। নিজের দেশে একা ও দেশের বাইরে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। '
তিনি আরও বলেন, ঘরোয়া রাজনৈতিক লাভের জন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধাচরণ করা উচিত নয়।
এভাবেই নাম না করে মোদির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন শরীফ।
আফগানিস্তান নিয়ে তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী আফগান সরকারের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। ''
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, তিনি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে যাবেন। তার দাবি, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেন, এসসিওর দেশগুলির সঙ্গে তাদের দেশের মুদ্রায় বাণিজ্য করার ফলে নিষেধাজ্ঞার ধার কমে গেছে।
রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার জন্য এসসিও দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানান পুতিন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রভাব দেখানো এবং ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করার ফলে বিশ্ব এখন অনেক বেশি ন্যায়সঙ্গত হয়েছে। বিশ্বে সব দেশের জন্য সমানাধিকার, সমান সুযোগ ও ন্যায়সঙ্গত নিয়মকানুন প্রয়োজন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
আরএইচ