বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চালের রপ্তানি আগেই নিষিদ্ধ করা হয়। কদিন আগেই সিদ্ধ চালের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসালো।
২০২২-২৩ সালে ভারত ৪৫ লাখ ৬০ হাজার টন বাসমতি এবং ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টন অবাসমতি চাল রপ্তানি করে। গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় চালের বিক্রি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। এটি গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে ভরতে চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়বে আন্তর্জাতিক চালের বাজার। এই অবস্থায় ভারতের সাথে দেনদরবার শুরু করে আমদানিকারক দেশ গুলো। যার মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। এর সুফলও পেতে যাচ্ছে দেশটি।
জানা গেছে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ বিবেচনায় সিঙ্গাপুরে চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করবে দেশটি। খবর এনডিটিভি।
সিঙ্গাপুরের সাথে ‘বিশেষ সম্পর্কের’ বিবেচনায় ‘খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে’ চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ভারত এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক, ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে। এই বিশেষ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে দেশটিতে চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দ্রুতই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা হবে।
ভারতের সরকারি সূত্রে জানাযায়, বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চালের রপ্তানি আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাসমতির নামে অন্যান্য চাল রপ্তানি করা হচ্ছে বলে সরকারি তদন্তে উঠে আসার পর বাসমতি চাল রপ্তানিও বন্ধ করা হয়।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বিশ্ববাজারে মোট চাল রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশই যায় ভারত থেকে। চাল রপ্তানির শীর্ষে থাকা অন্য দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এমএম