পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ছাড়া দেশটিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে দাবি করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আনোয়ার-উল-হক কাকার।
দেশটিতে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার মধ্যে এ দাবি করলেন তিনি।
সোমবারের (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। এর মধ্যেই ইমরান খানের ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের দাবি পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে।
কাকারের দাবি, ইমরান খান বা তার দলের শত শত সদস্য যারা কারাগারে বন্দী তাদের ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। পিটিআই’র এসব সদস্য ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বেআইনি কার্যকলাপ করেছিলেন। তবে সেসকল পিটিআই কর্মী বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না তারা আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
বার্তা সংস্থা এপিকে এসব সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার। পিটিআই যাতে ক্ষমতায় ফিরতে না পারে সে জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী আগামী নির্বাচনে কারসাজি করবে, এমন কিছু হতে পারে কিনা; এপি থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি একেবারেই অযৌক্তিক। নির্বাচন পরিচালনা করবে কমিশন; সেনাবাহিনী নয় তা ছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও সমর্থনের জন্য আমরা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা। তাকে নিয়োগ করেছিলেন ইমরান খান। তাহলে তিনি কেন তার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবেন? এর কোনো অর্থ আছে? আমরা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার জন্য কারও পেছনে লাগছি না। তবে হ্যাঁ; পিটিআই চেয়ারম্যান বা যেকোনো রাজনীতিবিদ নিয়ম না মানলে আইন কথা বলবেই।
ইমরানকে ছাড়া পাকিস্তানের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব, এ কথা মানতে নারাজ পিটিআই। দলটির একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। ওই মুখপাত্র বলেছেন ইমরান নিয়াজি খান ছাড়া এবারের সাধারণ নির্বাচন অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক। পিটিআই দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং খান সাহেব সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এমজে