এক মাস আগে শুরু হওয়া সংঘাতে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
বুধবার (৯ নভেম্বর) গাজা-মিশরের রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শনের সময় এ মন্তব্য করেন ভলকার।
ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক সম্মিলিত শাস্তিও একটি যুদ্ধাপরাধ- যেমন বেসামরিক লোকদের বেআইনিভাবে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া।
রাফাহ সীমান্তের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা বিতরণ শুরু হওয়ার আগে অঞ্চলটিতে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তুর্ক এ সীমান্ত এলাকাটিকে ‘লাইফলাইন’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, লাইফলাইনটি অন্যায়ভাবে, আক্রোশজনকভাবে সরু করে ফেলা হয়েছে।
ভলকার তুর্ক অরও বলেন, দক্ষিণ ইসরায়েলে আন্তঃসীমান্তে হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নিরলসভাবে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। ইসরায়েলের এ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের লোকেরাও হামলা চালায়। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হন; ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়। আবার ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় অনেক নারী ও শিশুসহ ১০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।
আমি আহ্বান জানাই, জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে একমত হওয়া প্রয়োজন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ইসরায়েল-গাজায় মানবাধিকারের অপরিহার্যতা তিনটি- গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দেওয়া, জিম্মিদের মুক্তি ও দখলদারিত্বের টেকসই অবসান হওয়া। আমরা একটি গিরি থেকে নিচে পড়ে গেছি, যা চলতে পারে না। এক পক্ষের কর্ম অন্য পক্ষের কর্মকে নিষ্কৃতি দেয় না।
গাজায় দুর্ভোগ লাঘবে চলমান যুদ্ধের মানবিক বিরতি দিকে ইসরায়েলকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ ও জি-৭ দেশগুলো। কিন্তু ইসরায়েল সেটি প্রত্যাখ্যান করে। এমনটি মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানও নাকচ করে দেয়। দেশটি বলেছে, হামাস যতক্ষণ জিম্মিদের মুক্তি না দেবে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি হবে না। অপরদিকে হামাস বলছে, যতক্ষণ গাজায় হামলা চলবে তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।
গত ৫৬ বছরের দখলদারিত্বের প্রেক্ষাপটে গাজা, ইসরায়েল, পশ্চিম তীর তো বটেই- আঞ্চলিকভাবেও আমরা সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
এমজে