ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মার্কিন সিনেটে তোপের মুখে ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
মার্কিন সিনেটে তোপের মুখে ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে সন্তানরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন অভিযোগ তোলা পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে এক উত্তপ্ত জেরায় অংশ নিয়ে ক্ষমা চান তিনি।

ইনস্টাগ্রাম ও ফেইসবুকের মালিক জাকারবার্গ সিনেটে উপস্থিত অভিভাবকদের দিকে তাকিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কারো যাওয়া উচিত নয়।

তিনিসহ টিকটক, স্ন্যাপ, এক্স ও ডিসকর্ডের প্রধান কর্মকর্তাদেরকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে উভয় পার্টির সিনেটররা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আইনপ্রণেতারা তাদের কাছে জানতে চান, অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষার জন্য তারা কী করছেন।

প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট হর্তাকর্তাদের প্রশ্ন করার এটি একটি বিরল সুযোগ ছিল মার্কিন সিনেটরদের জন্য।

জাকারবার্গ এবং টিকটকের সিইও শাও জি চিউ স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য দিতে রাজি হলেও স্ন্যাপ, এক্স (আগের টুইটার) এবং ডিসকর্ডের প্রধানরা প্রাথমিকভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরে তাদের প্রতি হাজিরার নির্দেশ জারি করে সরকার।

এই পাঁচ প্রযুক্তি প্রধানের পেছনে বসে ছিল সেসব পরিবারগুলো, যারা বলে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কন্টেন্টের কারণে তাদের সন্তানরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বা আত্মহত্যা করেছে।

প্রযুক্তি কর্তারা যখন সিনেট কক্ষে প্রবেশ করছিলেন, তখন পরিবারগুলোকে রাগান্বিত দেখাচ্ছিল। সেইসঙ্গে, আইনপ্রণেতারা যখন তাদের কঠিন কঠিন প্রশ্ন করছিলেন, তখন তারা হাততালি দিচ্ছিল।

এ শুনানির প্রধান বিষয়বস্তু ছিল, অনলাইনে যৌন হয়রানি থেকে শিশুদেরকে কীভাবে রক্ষা করা যায়। কিন্তু এর বাইরেও পাঁচ ক্ষমতাশালী প্রযুক্তি কর্তাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করা হয়, কারণ সিনেটররা তাদের এভাবে পাওয়ার সুযোগটাকে হাতছাড়া করতে চাননি।

মেটা প্রধান জাকারবার্গকে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এ নিয়ে তিনি আটবার কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিলেন।
 
রিপাবলিকান সিনেটর জোশ হলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জাকারবার্গকে তার পিছনে বসে থাকা পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তখন তিনি উঠে দাঁড়ান এবং শ্রোতাদের দিকে ফিরে বলেন, আপনারা যা কিছুর মাঝ দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য আমি দুঃখিত। এটি ভয়ানক। আপনাদের পরিবার যে যন্ত্রণার মাঝ দিয়ে গেছে, তা আর কোনো পরিবারের ভোগ করা উচিত নয়।

বিবিসি বাংলা অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।