ঢাকা: রাশিয়ার চুকোতকা অঞ্চলে বিশ্বের একমাত্র ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফলোআপ পিয়ার রিভিউ মিশন সম্পন্ন করেছে নিউক্লিয়ার অপারেটরদের বৈশ্বিক সংস্থা ‘ওয়ানো’। মিশনের লক্ষ্য ছিল ২০২২ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিয়ে যেসকল সুপারিশ করা হয়েছিল, তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, চীনা, রুশ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত ওয়ানো দলটি এক সপ্তাহ ধরে তাদের মিশন পরিচালনা করে।
মিশনের কাজে দুটি ধাপ অন্তর্ভূক্ত ছিল ৷ প্রথমটি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রশিক্ষণ ইউনিটে যেখানে অপারেটিং এমপ্লয়িদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং দ্বিতীয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সাইটে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ২০জন এমপ্লয়ি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তারা একযোগে ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কার্যক্রম মূল্যায়ন করেন এবং এটির নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করেন।
ওয়ানো বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডকুমেন্টেশন ছাড়াও কর্মকর্তাদের কার্যক্রম মনিটর এবং তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। তারা পর্যালোচনার ফলাফল সম্পর্কে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
ওয়ানো মিশনের প্রধান দিমিত্রি জেরকাল বলেন, বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যেমন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত, রেডিয়েশন নিরাপত্তা ইত্যাদি মূল্যায়ন করেছেন। তিনি আরও জানান যে, পিয়ার রিভিউর ফলাফল অনুযায়ী ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সকল ক্ষেত্রেই ভালো করেছে।
ওয়ানো মিশনের মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বের সকল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি। পিয়ার রিভিউ এবং বিশ্বের উত্তম চর্চাগুলোর বিনিময় ওয়ানো সাপোর্ট মিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মাধ্যমে পারমাণবিক নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জিত হয়।
ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি আধুনিক হাইটেক সমাধান, যা উপকূলীয় এবং বিচ্ছিন্ন অঞ্চল গুলোতে নির্ভরযোগ্য, মূল্য সাশ্রয়ী এবং কার্বন মুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশই এ জাতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রতি ক্রমান্বয়ে ঝুঁকছে। শুধুমাত্র আর্কটিক অঞ্চলে বর্তমানে এজাতীয় ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘন্টা, মে ১৬, ২০২৪
এসকে/এমএম