ব্রাসেলস সফরে গিয়ে ইইউ শীর্ষবৈঠকে নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
সেই আলোচনায় ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর সেনা মোতায়েন নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনা করেছেন জেলেনস্কি।
ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শান্তির পথে যেতে গেলে এটা জরুরি। আমরা মনে করি, শান্তির জন্য কিছু নিশ্চয়তা থাকা দরকার।
চলতি বছরের গোড়ায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে সেনা পাঠাক। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর নেতারা এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না।
এদিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা বিবেচনা করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি কিয়েভ সফরে ইউক্রেনকে আগামী বছরে আরও সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বর্তমানে, যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, ইউক্রেনে একটি ছোট ব্রিটিশ সেনা মেডিক দল প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যুক্তরাজ্য এবং ন্যাটোর অন্যান্য সদস্যরা ইউক্রেনে সেনা পাঠায়নি। তবে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
হিলি কিয়েভকে ২২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন – যার মধ্যে আরও ড্রোন, আর্টিলারি শেল এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কিন্তু তিনি বলেন, তিনি ইউক্রেনকে আগামী বছরের জন্য সর্বোচ্চ শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে আরও অস্ত্র সরবরাহ, আরও প্রশিক্ষণ এবং রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
এমএম