ঢাকা, সোমবার, ২১ পৌষ ১৪৩১, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২০২৪ সালে হতাহত ৪ লাখ ৩০ হাজার রুশ সেনা, দাবি ইউক্রেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৫
২০২৪ সালে হতাহত ৪ লাখ ৩০ হাজার রুশ সেনা,  দাবি ইউক্রেনের

২০২৪ সালে রাশিয়া ধীরে ধীরে এগিয়ে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের চার হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার (১,৬০৯ বর্গমাইল) এলাকা দখল করেছে। এটি ইউক্রেনের মোট এলাকার মাত্র দশমিক ৬৯ শতাংশ।

 

এটি ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের (আইএসডব্লিউ) মূল্যায়ন, যা স্যাটেলাইট ছবি ও  ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে করা হয়েছে।

আইএসডব্লিউ বলছে, ২০২৪ সালে রুশ বাহিনী মোট চারটি মাঝারি আকারের জনপদ দখল করেছে – আভদিভকা, সেলিদোভে, ভুহলেদার ও কুরাখোভে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় জনপদে যুদ্ধের আগের জনসংখ্যা ছিল ৩১ হাজারের কিছু বেশি।

রুশ বাহিনী আভদিভকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চার মাসের মতো সময় খরচ করেছে। সেলিদোভে ও কুরাখোভের নিয়ন্ত্রণ নিতে খরচ করেছে দুই মাস। আইএসডব্লিউ বলেছে, এসব এলাকা দখল করেও রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বড় কোনো প্রতিরক্ষা স্থাপনায় আঘাত হানতে পারেনি।

এভাবে এগোলে রাশিয়াকে শুধু দোনেৎস্ক দখল করতেই আরও দুই বছর লাগবে, এমন মূল্যায়ন ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের।

এই অগ্রগতি অর্জন করতে রাশিয়াকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। কারণ, ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের প্রতিরক্ষা সুবিধার পূর্ণ ব্যবহার করেছে। শহর এলাকায় যেখানে তারা ভবন থেকে ভবনে, সড়ক থেকে সড়কে যুদ্ধ করেছে, সেখানে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।

ইউক্রেনের কমান্ডার ইন চিফ ওলেকসান্দর সিরস্কি গত সোমবার বলেন, ২০২৪ সালে রুশ বাহিনীর আনুমানিক চার লাখ ২৭ হাজার সেনা হতাহত হয়েছে।

কদিন পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গত বছর রাশিয়ার চার লাখ ৩০ হাজার ৭৯০ সেনা হতাহত হয়েছে, যা ৩৬টি রুশ মটরাইজড রাইফেল ডিভিশনের সমান। এই সংখ্যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের সম্মিলিত হতাহতের সংখ্যার চেয়েও বেশি।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া সেনা সংখ্যা বাড়াতে উত্তর কোরীয় অনেক সেনা নিয়ে এসেছে বলে খবর সামনে এসেছে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাদের এক চতুর্থাংশ এরইমধ্যে নিহত হয়েছে।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, কুরস্ক অঞ্চলে হতাহত উত্তর কোরীয় সেনাদের সংখ্যা এরইমধ্যে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার ভাষণে এমনটি বলছিলেন জেলেনস্কি।  

সম্প্রতি তিনি আবার দাবি করেছেন, যে কোরীয় সেনারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে পড়ার ঝুঁকিতে ছিল, রাশিয়া তাদের হত্যা করছে।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা, জিইউআর জানিয়েছে, কুরস্কে ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করতে আরও উত্তর কোরীয় যোদ্ধা নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুতিন সম্ভবত যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীকে শ্রমিকদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সোমবার এক আদেশে সই করেছেন। এর মাধ্যমে অবৈধ সব অভিবাসীকে এপ্রিল মাসের শেষে রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য করা হবে, তবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তারা সাধারণ আইনি পরিস্থিতি এড়াতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪

আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।