গ্রিনল্যান্ড-কানাডা-পানামা খাল সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় নেতারা।
বিশেষ করে গ্রিনল্যান্ড দখলের জন্য সামরিক বাহিনী ব্যবহারের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করতে ট্রাম্পের অস্বীকার করার ব্যাপারটি ইউরোপীয় নেতাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎস বলেছেন, শক্তি বা সক্ষমতা যেটুকুই থাকুক সীমান্তের অখণ্ডতা প্রতিটি দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি করেছে। আমাদের সবাইকে একসাথে দাঁড়াতে হবে, সীমান্ত কখনো বলপ্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তন করা উচিত নয়। এই নীতিটি পূর্ব-পশ্চিম, যেকোনো অঞ্চলের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল বারোও এ বিষয়ে তার নিজের মতামত জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড ইউরোপীয় অঞ্চল এবং ইইউ তার সার্বভৌম সীমান্তে কোনো আক্রমণ বরদাশত করবে না।
ইইউ কর্মকর্তারা যদিও এ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছেন, তবে সংস্থাটির একজন মুখপাত্র জানান, গ্রিনল্যান্ড পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীনে সুরক্ষিত। এই চুক্তি অনুযায়ী, কোনো সদস্য রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরা সহায়তা করতে বাধ্য।
ইইউ কমিশনের মুখপাত্র পাউলা পিনহো এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আপাতত তাত্ত্বিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি, এবং এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে চাই না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় নেতারা ঐক্যবদ্ধ থাকার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে গত বুধবার ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককি রাসমুসেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাসিন্দারা চাইলে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হতে পারে, তারপরও এটি মার্কিন রাজ্যে পরিণত হবে না।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
এমএম