সম্প্রতি আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে আর্জেন্টিনার বন্দর নগরী বাহিয়া ব্লাঙ্কা। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যর খবর পাওয়া গেছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাহিয়া ব্লাঙ্কার মেয়র ফেদেরিকো সুসবিয়েলস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে লেখেন- অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আর্জেন্টিনায় তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ফেদেরিকো জানিয়েছেন, বন্যায় অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
গত ৭ মার্চ আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের দক্ষিণের শহর বাহিয়া ব্লাঙ্কা, এর আশেপাশের কয়েকটি স্থানে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিপাতের ফলে মারাত্মক বন্যা দেখা দেয়।
বন্যায় দুই শিশু স্রোতে ভেসে যাওয়ার ঘটনা প্রবল আলোড়ন তুলেছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিতে। তাদের একজনের বয়স এক, অন্যজনের পাঁচ বছর।
প্রাদেশিক নিরাপত্তামন্ত্রী জাভিয়ের আলোনসো গত রোববার তাদের নিখোঁজ হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেন, পানি থেকে বাঁচতে বোনেরা তাদের মায়ের সঙ্গে একটি ভ্যানের ছাদে উঠেছিল। তখনই প্রবল ঢেউ তাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাদের মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জায়গায় এখনো অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
ঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চলসহ আশেপাশের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই দুর্যোগকালে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় নিবেদিত থাকবে। সরকার ১০ বিলিয়ন পেসোর জরুরি পুনর্গঠন সহায়তা অনুমোদন করেছে।
আর্জেন্টাইন ফুটবল সুপারস্টার লিওনেল মেসি ইন্সটাগ্রামে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, এই মুহূর্তে যারা কঠিন সময় পার করছেন তাদের সবাইকে ঈশ্বর অনেক শক্তি দিক।
দেশটির পরিবেশ কর্মকর্তা আন্দ্রেয়া ডুফোর্গ বলেছেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। দুর্ভাগ্যবশত এটি চলতেই থাকবে। শহরগুলোকে প্রস্তুত করা, নাগরিকদের সচেতন করা, কার্যকর প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।
এর আগে ২০২৩ সালে একটি ঝড়ে বাহিয়া ব্লাঙ্কায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছিল। ঘরবাড়ি ধসে পড়েছিল ও ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৫
এসএস/এমজে