ঢাকা, সোমবার, ১৬ চৈত্র ১৪৩১, ৩১ মার্চ ২০২৫, ০০ শাওয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

খার্তুমের বিমানবন্দর পুনরুদ্ধার করলো সুদানের সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৫
খার্তুমের বিমানবন্দর পুনরুদ্ধার করলো সুদানের সেনাবাহিনী

সুদানের সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে তারা অবশেষে খার্তুমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনরুদ্ধার করেছে।  

দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর সেনাপ্রধান রাজধানীতে ফিরে এসেছেন।

এটি সেনাবাহিনীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য, যা প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর কাছ থেকে পুরোপুরি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে একটি বড় ধাপ।

সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহান খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর মাটিতে চুমু খেয়ে তার সৈন্যদের উদ্দেশে মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচু করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সৈন্যদের সামনে “খার্তুম এখন মুক্ত! এটা শেষ! খার্তুম মুক্ত!” বলতে শোনা যায় সেনাপ্রধান বুরহানকে।  

তবে খার্তুমের কিছু এলাকায় এখনও বিচ্ছিন্নভাবে আরএসএফ-এর উপস্থিত রয়েছে, তাই সরকার এখনো পুরোপুরি বিজয় ঘোষণা করেনি। তবে বুরহানের ফিরে আসা রাজধানীতে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে উঠেছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর আরএসএফ খার্তুমের বিমানবন্দর, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকা দখল করে নেয়। পরিস্থিতির চাপে পড়ে বুরহান ও তার সামরিক নেতৃত্ব পোর্ট সুদানে সরে যেতে বাধ্য হন।

যদিও সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে, যুদ্ধ এখানেই শেষ নয়। আরএসএফ এখনও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলসহ দেশের আরও কিছু অংশে সক্রিয় রয়েছে।

এর আগে বুধবার, সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছিল যে তারা আরএসএফ-এর শেষ প্রধান ঘাঁটি, তাইবা আল-হাসনাব ক্যাম্প পুনরুদ্ধার করেছে। তবে আরএসএফ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি।

সেনা-নিয়ন্ত্রিত সরকারের তথ্য মন্ত্রী খালিদ আলেসার এই ঘটনাকে সুদানের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ধারক মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, খার্তুম এখন মুক্ত, যেমনটি হওয়া উচিত ছিল।

বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার ফলে ত্রাণ সংস্থাগুলোর জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে, যারা দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। যুদ্ধের ফলে প্রায় ১.৪ কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে, এবং কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

এখন পর্যন্ত আনুমানিক ২৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৫
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।