সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেছেন সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ক্রেগ মারি। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
মিডল ইস্ট মনিটরের বরাতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানে থাকা বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটির রাজনৈতিক চিত্রে বড় পরিবর্তন আসে। রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরীর আল শাম। পরে গঠিত হয় আহমেদ আল সারার নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আর্থিক সহায়তার আশ্বাসে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে হাঁটছেন আল সারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস ও ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ মনে করে, সিরিয়ার বর্তমান সরকার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান প্লেজিং কনফারেন্সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করছে।
ওই প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে আলওয়াই খ্রিস্টানদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং নারীদের নেতৃত্বে আনা। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা—আল সারার ২৪ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভায় মাত্র তিনটি মন্ত্রণালয় সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ এবং একমাত্র নারী মন্ত্রী একজন কানাডা প্রবাসী খ্রিস্টান।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্রাসেলস সম্মেলনে সিরিয়ার জন্য বরাদ্দ হয় ৬২ লাখ মার্কিন ডলারের ঋণ ও অনুদান, যার অর্ধেকই দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এদিকে ক্রেগ মারি আরও দাবি করেছেন, সিরিয়ায় অবস্থানরত ব্রিটিশ গোপন সংস্থা এমআই সিক্স এবং বিশেষ বাহিনী হায়াত তাহরীর আল শামের নেতা আল জোলানিকে সরাসরি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সিরিয়ার কট্টরপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ধাপে ধাপে নির্মূল করার পরিকল্পনা রয়েছে পশ্চিমা জোটের।
তবে এসব বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি সিরিয়ার সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
এমজে