ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বিয়ারশিবায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেন্ট্রাল রেল স্টেশনটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কারণ সেটিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল গাভ-ইয়াম নেগেভ অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস পার্ক, যেখানে মাইক্রোসফটের অফিসসহ অনেক রোবোটিক্স ও ডেটা সায়েন্স গবেষণা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এই প্রযুক্তি পার্কটি বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) সি ফোর আই (কমান্ড, কন্ট্রোল, কমিউনিকেশন, কম্পিউটার ও ইনটেলিজেন্স) শাখার ক্যাম্পাসের পাশেই অবস্থিত।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওই হামলায় সাতজন ব্যক্তি হালকাভাবে আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল তুলনামূলকভাবে কম জনবসতিপূর্ণ হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে। বিশেষ করে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি এখানে আঘাত হানে, সেটি অফিস সময় শুরুর আগেই বিস্ফোরিত হয়, ফলে অনেক অফিস তখনো ফাঁকা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও সরকারিভাবে বিস্তারিত বিবৃতি দেওয়া হয়নি। শুধু ইসরায়েলি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক মন্তব্যে বলা হয়েছে, মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ত্রুটি ঘটেছিল, যার ফলে বিয়ারশেভায় যে ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি আঘাত হেনেছে, তা থামানো যায়নি।
এই হামলায় বহু ভবনের জানালা, আসবাবপত্রসহ বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছেন।
হামলায় পাঁচজন হালকাভাবে আহত হয়েছেন, এবং ৩০ জন আতঙ্কে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয় ইরান কেবল একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল নাকি একাধিক, এবং অন্যগুলো হয়ত প্রতিহত হয়েছে কিনা। আমরা এখনো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পূর্ণাঙ্গ বিবৃতির অপেক্ষায় আছি।
তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দক্ষিণ ইসরায়েলের এই তুলনামূলক কম জনবসতিপূর্ণ এলাকাটি এখন ইরানের আঘাতের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। এর আগের দিন একই সময়ে বড় ধরনের হামলায় ক্ষিণ ইসরায়েলের প্রধান হাসপাতাল সোরোকা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এমএম