ঢাকা, শুক্রবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জুন ২০২৫, ২৩ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইরানের হাসপাতালেও বোমা হামলা, ইসরায়েলেরটাই শুধু শিরোনামে কেন?

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১০, জুন ২০, ২০২৫
ইরানের হাসপাতালেও বোমা হামলা, ইসরায়েলেরটাই শুধু শিরোনামে কেন?

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একই ধরনের পৃথক দুটি ট্র্যাজেডির বিষয়ে বৈশ্বিক গণমাধ্যমের কাভারেজে ‌আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ইরানি।

ইসরায়েলের বিরশেবা শহরের একটি হাসপাতালে বোমা হামলার খবর দ্রুত ও ব্যাপক আন্তর্জাতিক মনোযোগ পায়।

এর তিন দিন আগে ইরানের কেরমানশাহ শহরের একটি হাসপাতালেও হামলা চালানো হয়েছিলো, কিন্তু সেটা প্রায় কারও নজরেই আসেনি।

এর একটি বড় কারণ হলো, ইসরায়েল সাংবাদিকদের সেখানে ঢুকতে দেয়। বিদেশি সাংবাদিকদের দ্রুত ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্মকর্তারা ব্রিফ করেন এবং মুক্তভাবে রিপোর্ট করতে দেওয়া হয়।

বিপরীতে, ইরানে সাংবাদিকদের আটকে রাখা হয়, দেশের ভেতরের গণমাধ্যমের ওপর সেন্সর আরোপ করা হয়, ইন্টারনেটের ব্যবহার সীমিত করা হয়। ফলে কেবল অস্পষ্ট এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থাৎ বেসরকারি সূত্র থেকে যে ভিডিও পাওয়া যায়, সেগুলোই খবরের উৎস।

ইসরায়েলে দ্রুত হতাহতের সংখ্যা ও নিয়মিত আপডেট দেওয়া হয়। ইরানে, ইসরায়েলি হামলার দুদিন পর সারাদেশে ২২৪ জন নিহতের তথ্য দেওয়া হয়, কিন্তু স্থান অনুযায়ী কোনো বিশ্লেষণ ছিল না।

পরদিন কেরমানশাহর হাসপাতালটি আক্রান্ত হয়, কিন্তু এরপর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পায়নি।

গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার ও স্বচ্ছতার অভাবে ইরানের অনেক গল্প হারিয়ে গিয়েছে। শোকাহত পরিবারগুলো চেষ্টা করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এর শূন্যতা পূরণের, কিন্তু ব্যক্তিগত পোস্ট কখনো পরিকল্পিত সংবাদ কাভারেজের বিকল্প হতে পারে না।

যুদ্ধের সময়ে যখন দৃষ্টিভঙ্গিই প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করে, তখন কেরমানশাহর চারপাশে এ নীরবতা ইঙ্গিত দেয় যে সেন্সরশিপ ও একঘরে হয়ে যাওয়ার ফলে কত ভয়াবহ ঘটনাও বিশ্বের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যেতে পারে।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।