ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোয় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে লাভবান হওয়া ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির মানবাধিকার কার্যালয়ের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) যেসব এলাকাকে অবৈধ বসতি হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেইসব জায়গায় ব্যবসা চালাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। বহুল পরিচিত অনলাইন ট্রাভেল ও আবাসন সেবা প্রতিষ্ঠান এয়ারবিএনবি, বুকিং ডটকম, এক্সপেডিয়া ও ট্রিপ অ্যাডভাইজারও এই তালিকায় রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ইসরায়েলি মালিকানাধীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানিভিত্তিক বেশ কয়েকটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের নামও রয়েছে। সর্বশেষ হালনাগাদে নতুন করে ৬৮টি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে এবং সাতটি কোম্পানির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অপসারিতদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের ওপোডো ও স্পেনের ইড্রিমস।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ব্যবসা পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত না থাকা। তিনি সতর্ক করে বলেন, তাদের কার্যক্রম যেন মানবাধিকারের ক্ষতি না করে, এখন সেটাই সবচেয়ে জরুরি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, আবাসন, খনিজ ও খনি খাতের সঙ্গে যুক্ত। এসব খাত ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণে সরাসরি সহায়তা করে আসছে। এছাড়া আরও ৩০০টির বেশি কোম্পানি এখনো পর্যবেক্ষণের আওতায় রয়েছে।
এই তালিকা প্রকাশের সময়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পশ্চিম তীরে অবৈধ দখলদারিত্ব ও গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলবিরোধী ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে বসতি স্থাপন, সড়ক, প্রাচীর ও চেকপোস্ট নির্মাণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
সূত্র: আল জাজিরা