ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ক্যাফেতে ইরানি বন্দুকধারীর হাতে জিম্মির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ১৬ ঘণ্টার ওই জিম্মিদশা পুলিশ কমান্ডো ও বিশেষ বাহিনীর অভিযানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সোমবার সকালে বন্দুকধারী ক্যাফেতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে দোকানকর্মী ও ক্রেতাদের জিম্মি রাখে রাত অবধি। শ্বাসরুদ্ধকর ওই ঘটনা বিশ্বের প্রথম সারির সকল
গণমাধ্যম গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে। অবশেষে স্থানীয় সময় মধ্যরাতে পুলিশ ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ক্যাফেতে অভিযান চালায়। এতে বন্দুকধারী ও
দুই জিম্মি নিহত হন। তবে জিম্মি দুইজন কার হাতে নিহত হয়েছেন সেটি জানা যায়নি।
মঙ্গলবার সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ নিহতদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এনএসডব্লিউ সরকারি ভবনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
বিবিসির খবরে বরা হয়, পুলিশ হামলাকারীর ‘মোটিভ’ তদন্ত করছে। সেই সঙ্গে পুলিশি অভিযানেরও তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হয়ে কয়েক সপ্তাহ বা মাস লেগে যেতে পারে।
ম্যান হারোন মনিস নামের বন্দুকধারী অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। এসব মামলায় তিনি জামিনে ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় একাকী থাকতেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট জানান, হামলাকারী দীর্ঘদিন মৌলবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মানসিক সমস্যাও ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহত দুই জিম্মি হলেন ক্যাফের ম্যানেজার টরি জনসন (৩৪) ও আইনজীবী ক্যাটরিনা ডসন (৩৮)।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এনএডব্লিউ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ক্যাথরিন বার্ন ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করে তদন্তের কথা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪