ঢাকা: পাকিস্তানের পেশোয়ারের স্কুলে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের পর এবার ভারতে একই ধরনের হত্যার হুমকি আসছে। দিল্লি ও ব্যাঙ্গালোরে এ ধরনের হামলা চালানো হবে বলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে হুমকির বার্তা।
হুমকির কারণে ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক আতঙ্ক। সরকারের সূত্রগুলো বলছে, এই হুমকি যারা ছড়াচ্ছে তাদের খুঁজে বের করার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু শেষ খবর পর্যন্ত কোনো কিছুই নিশ্চিত হতে পারেনি।
সামাজিক মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ থেকেই এই বার্তাগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দেশটির কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম-ক্রেট এরই মধ্যে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুকের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে হুমকির উৎস ও কারা এগুলো ছড়াচ্ছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
আইনগত বাধার কথা বলে হোয়াটস অ্যাপ অবশ্য কোনও তথ্য শেয়ার করতে রাজি হচ্ছে না বলেই সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। কোম্পানিটির সদরদফতর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়, কারগরি তথ্য পেতে হলে সেখানেই যোগাযোগ করতে হবে, বক্তব্য হোয়াটস অ্যাপের।
ভারতের কোনও আদালত থেকে বিদেশের কোনো আদালতের মাধ্যমে তথ্য চাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তবে তা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার বলেই জানায় সূত্রগুলো। আর সরকার এমন কিছু ভাবছে বলেও জানা যায়নি।
এদিকে আতঙ্কের এই বার্তা ব্যাপকভাবেই ছড়িয়েছে ব্যাঙ্গালোরে ও দিল্লিতে। ইসলামিক স্টেট এর অনুসারী মেহেদী বিশ্বাসকে আটকের এবং পেশোয়ারের স্কুলে ১৩২ শিশু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই এসব বার্তা ছড়াতে থাকে।
দুই নগরীতেই পুলিশ অবশ্য সাধারণ মানুষকে এই বার্তায় গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। দিল্লি পুলিশের প্রধান বিএস বাসি কে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ প্রধান এমএন রেড্ডি টুইট করে বলেছেন, সাধারণ মানুষের এ ধরনের তথাকথিত হুমকিতে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। তবে আমরা বিষয়টি পুঙ্খানুপঙ্খুভাবে যাচাই করে দেখছি।
সব ধরনের পূর্ব সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেও টুইটে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময় ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪