ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

প্লেন অনুসন্ধানে নেমেছে ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪
প্লেন অনুসন্ধানে নেমেছে ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সুরাবায়া থেকে ১৬২ আরোহী নিয়ে চাঙ্গি বিমানবন্দরগামী নিখোঁজ এয়ার এশিয়ার উড়োজাহাজটির অনুসন্ধানে সর্বাত্মক তৎপরতায় নেমেছে ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।

দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জানিয়েছে উভয়পক্ষই বিমান ও নৌবাহিনীকে অনুসন্ধানে পাঠিয়েছে।



সিঙ্গাপুরের কর্মকর্তারা জানান, এয়ার এশিয়ার উড়োজাহাজটি অনুসন্ধানে সিঙ্গাপুরের বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী পুরোপুরি তৎপরতা শুরু করেছে।

একই কথা জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারাও। তারা বলেন, ফ্লাইটটি যে সময় ও  যে স্থান থেকে নিখোঁজ হয়েছে সে সময় ও সে স্থানকে ভিত্তি করে ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনী অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে।

কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, সম্ভবত জাভা সাগরের ওপরের এলাকা থেকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে উড়োজাহাজটি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড়াল দেওয়‍া কিউজেড ৮৫০১ ফ্লাইটটি সকাল ৭টা ২৪ মিনিটের পর থেকে সংশ্লিষ্ট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরগামী উড়োজাহাজটি ৮টা ৩০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা।

উড়োজাহাজটিতে ৭ ক্রু ও ১৫৫ যাত্রী মিলিয়ে মোট ১৬২ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ৭ ক্রু ছাড়া ১৪৯ জনই ইন্দোনেশিয়ান। বাকি ছয়জনের মধ্যে একজন ব্রিটিশ, একজন মালয়েশিয়ান ও তিনজন কোরিয়ান। কোরিয়ান তিনজনের মধ্যে একজন নবজাতকও রয়েছে।

স্থানীয় মেট্রো টিভির খবরে বলা হয়, ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড়াল দেয় কিউজেড ৮৫০১ ফ্লাইটটি। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ৮টা ৩০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু স্থানীয় সময় বেলা ১১টার পরও এটি নিখোঁজ রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী হাদি মুস্তাফা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, উড়াল দেওয়ার ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই ‍জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে এয়ার এশিয়ার এয়ারবাস ৩২০-২০০। উড়োজাহাজটি কালিমানতান ও বেলিতুং দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা থেকে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, নিখোঁজ হওয়ার আগে উড়োজাহাজটিকে অস্বাভাবিকভাবে রুট পরিবর্তনের কথা বলা হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে।

ফ্লাইটটি নিখোঁজ থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে এয়ার এশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তারা এখন পর্যন্ত যাত্রী বা ক্রুদের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানেন না, তবে কোনো কিছু জানতে পারলেই সকলকে জানানো হবে।

নিখোঁজ প্লেনটির হদিস পেতে ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে এবং এয়ার এশিয়া তাতে সহযোগিতা করছে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।