ঢাকা: সুরাবায়া থেকে ১৬২ আরোহী নিয়ে চাঙ্গি বিমানবন্দরগামী নিখোঁজ এয়ার এশিয়ার উড়োজাহাজটির অনুসন্ধান সাময়িক স্থগিত করেছে ইন্দোনেশিয়া।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে অনুসন্ধান কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়।
তবে সোমবার সকাল ৭টা থেকে ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনী আবারো অনুসন্ধান শুরু করবে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী হাদি মুস্তফা।
তিনি বলেন, যদি আবহাওয়া অনুকূলে তাকে তাহলে সকাল ৭টার আগে থেকে আমরা অনুসন্ধান কাজ শুরু করবো।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড়াল দেওয়া কিউজেড ৮৫০১ ফ্লাইটটি সকাল ৭টা ২৪ মিনিটের পর থেকে সংশ্লিষ্ট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরগামী উড়োজাহাজটি ৮টা ৩০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা।
উড়োজাহাজটিতে সাত ক্রু ও ১৫৫ যাত্রী মিলিয়ে মোট ১৬২ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে সাত ক্রু ছাড়া ১৪৯ জনই ইন্দোনেশিয়ান। বাকি ছয়জনের মধ্যে একজন ব্রিটিশ, একজন মালয়েশিয়ান ও তিনজন কোরিয়ান। কোরিয়ান তিনজনের মধ্যে একজন নবজাতকও রয়েছে।
স্থানীয় মেট্রো টিভির খবরে বলা হয়, ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড়াল দেয় কিউজেড ৮৫০১ ফ্লাইটটি। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ৮টা ৩০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু স্থানীয় সময় বেলা ১১টার পরও এটি নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে রাশিয়ার প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক (সাবেক রিয়া নভোস্তি) জানিয়েছে, ফ্লাইট ৮৫০১ ইন্দোনেশিয়ার বেলিটুং দ্বীপপুঞ্জের কোনো এক প্রত্যন্ত দ্বীপে জরুরি অবতরণ করেছে। এছাড়া এর সব আরোহীই জীবিত রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় এখন সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরটি যাচাই করে দেখছে বলে জানিয়েছে স্পুটনিক। স্পুটনিকের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জে এ বারাতা রোববার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দেটিক ডট কমকে বলেন, ‘আমরা জাকার্তায় এখনও এ সংক্রান্ত খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারিনি। তবে সুরাবায়ায় অবস্থানরত আমাদের সহকর্মীরা এ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন। বর্তমানে আমরা এটি যাচাই করে দেখছি।
চলতি বছর এনিয়ে তৃত্বীয় বারের মতো প্লেন নিখোঁজে ঘটনা ঘটলো। এর আগে চলতি বছরের মার্চে কুয়ালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ নিখোঁজ হয়। যার খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে মালয়েশিয়া এয়ার লাইনসের আরেকটি প্লেন পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে ২৯৮ জন যাত্রী নিয়ে ভূপাতিত হয়। যার সব যাত্রীই নিহত হন। প্লেনটি দুর্বৃত্তদের মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪