বিশ্বের সব প্রান্তে শনিবার দিবাগত রাতটি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নির্ঘুমই কেটেছে ও কাটছে । তাদের চোখ পড়ে আছে টেলিস্কোপের মধ্য দিয়ে দূর আকাশে।
গোলার্ধের আধেকটা এরই মধ্যে দেখে ফেলেছে এই দৃশ্য। অপর পীঠে কেবল সন্ধ্যা নেমেছে। আকাশ অন্ধকারে ছেয়ে গেলেই দূর আকাছে দেখা যাবে চাঁদের সমান্তরালে চলে এসেছে শুক্র আর মঙ্গল। বাইনোকুলারে দৃষ্টি ফেললে সহজেই চোখে পড়ছে সে দৃশ্য। এই রাতে শুক্র পৃথিবী থেকে ১.৪২ অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিট দূরে আর মঙ্গল ২.২০ অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিট দূরে অবস্থান করছে। আর এতে রাতের আকাশে আলোর ছটা ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, কেউ যদি মঙ্গল গ্রহ থেকে দেখতে পেতো তাহলে একসঙ্গে তাদের চোখে পড়তো শুক্র আর পৃথিবী। আর তা এতই জ্বলজ্বলে যে ভোরের আকাশেও এই দুটি গ্রহ মনে হতো সূর্যের মতো উজ্জ্বল।
২১ ফেব্রুয়ারি রাতে নক্ষত্রপুঞ্জ মীনের মধ্যে অবস্থান শুরু করেছে চাঁদ, শুক্র ও মঙ্গল। মধ্য মার্চের দিকে চাঁদ ঢুকে পড়বে মেষ নক্ষত্রপুঞ্জে। আর মঙ্গল মেষে ঢুকবে মার্চের শেষ নাগাদ।
এর আগে গ্রহ দুটি ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে এসেছিলো কাছাকাছি। এরপর আবার ২০১৭’র ৫ অক্টোবর আবার নিকটস্থ অবস্থান থাকবে তাদের।
মহাকাশে এমন ঘটনা ফিরে ফিরে এলেও এক সারিতে এমন তিন গ্রহ-উপগ্রহের অবস্থান ঘটার সময়টিতে পৃথিবী ধ্বংসের একটি সম্ভাবনার কথা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন জ্যোতিষীরা। তাদের মতে মহাজাগতিক ধ্বংসের উপলক্ষ হয়েই মহাকাশে এই অদ্ভুত ঘটনাগুলো ঘটে। এগুলোকে অবশ্য পুরোনো সংস্কার বলে উড়িয়ে দেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ সময় ০৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫