ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দুই অস্ট্রেলীয়’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে ইন্দোনেশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৫
দুই অস্ট্রেলীয়’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে ইন্দোনেশিয়া

ঢাকা: মাদক চোরাচালানের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের দণ্ড কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই বালি দ্বীপের কারাগার থেকে ইন্দোনেশিয়ার নুসাকামবাঙ্গান দ্বীপের একটি কারাগারে নেয়া হয়েছে তাদের।

এই সাধারণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের সাজা কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এই দ্বীপে।

বুধবার (৪ মার্চ) সকালে বালির কেরোবোকান কারাগার থেকে মিউরান সুকুমারান ও অ্যান্ড্রু চ্যান নামের ওই দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিককে কড়া নিরাপত্তা মধ্যে নুসাকামবাঙ্গান দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠিক কখন ওই দুই জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফায়ারিং স্কোয়াডে চ্যান এবং সুকুমারানসহ আরও ১১ বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বলে এর আগে খবর বেরিয়েছিলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।

এছাড়া সাজা কার্যকরের ৭২ ঘণ্টা আগে কর্তৃপক্ষের তরফে এ ব্যাপারে একটি ঘোষণা আসবে বলেও জানা গেছে।

এদিকে ওই দুই অস্ট্রেলীয়’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির সরকার এবং সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে দফায় দফায় যোগাযোগ করেন ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড বলেন, এই ক্ষমা প্রদর্শন ইন্দোনেশিয়ার মাদক বিরোধী আইনের প্রয়োগকে দুর্বল করে দেবে না।

আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড বলেন, ইন্দোনেশিয়া অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘ সময়ের বন্ধু রাষ্ট্র। এই বন্ধুত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমি ওই দুইজনকে ক্ষমা করে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো অস্ট্রেলিয়ার অন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা হলেন- জুলিয়া গিলার্ড, বব হক, ম্যালকম ফ্রেসার এবং পল কিটিং। অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার জনগণ এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।

বালি থেকে অস্ট্রেলিয়া হেরোইন চোরাচালান করতে গিয়ে ২০০৫ সালে গ্রেফতার হন সুকুমারান এবং চ্যান। এই দুইজন কুখ্যাত মাদক চোরাচালানি ‘বালি নাইন’ চক্রের অন্যতম মূল হোতা হিসেবে ‍পরিচিত।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তরফে ব্যাপক চাপ থাকলেও এ ব্যাপারে কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে আসছে ইন্দোনেশিয়া। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রচলিত দেশটিতে।

ইন্দোনেশিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো জানিয়েছেন, মাদক ইন্দোনেশিয়ায় জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িতদের বিষয়ে কোনো ক্ষমাই প্রদর্শন করবেন না তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫

** আরো পড়ুন: চোরাচালানীর মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে জোট অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।