ঢাকা: বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হলো শিশু-বৃদ্ধ-নারী-পুরুষসহ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উত্তরাঞ্চলের কোটি মানুষ। আন্তর্জাতিক সময় শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট) শুরু হওয়া এ গ্রহণ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৩ মিনিট থেকে পূর্ণতা পেয়ে এখন আবার কাটতে শুরু করেছে।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যম জানায়, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় ১১টা ১২ মিনিটে) ইউরোপের উত্তরাঞ্চলের দেশ নরওয়েতে পূর্ণ সূর্যের আলো ফিরেছে। তবে, তার আগে ইউরোপের একেবারে উত্তরের দেশটিকে অন্তত এক ঘণ্টা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, নিজ কক্ষপথে আবর্তনের সময় চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি চলে এলে এ সূর্যগ্রহণ ঘটে থাকে। শুক্রবার বছরের সবচেয়ে বড় সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের ৮৩ থেকে ৯৮ শতাংশ চাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে।
তবে, কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উত্তরাঞ্চল থেকে বছরের সবচেয়ে বড় এ সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
সংবাদমাধ্যম আরও স্পষ্ট করে জানায়, এই সূর্যগ্রহণ উত্তর আটলান্টিক থেকে আর্কটিক সার্কেল ধরে উত্তর মেরু পর্যন্ত অঙ্কিত রেখা বরাবর দেখা যায়। প্রথমে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে স্পেনের মাদ্রিদে সূর্যগ্রহণ শুরু হতে দেখা যায় বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো নিশ্চিত করে।
বলা হচ্ছে, ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম ইউরোপে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে পাওয়া গেল।
শুক্রবারের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে যুক্তরাজ্যে অন্ধকার ছড়ায় এলাকা ভেদে বিভিন্ন সময়। দেশটির শিটল্যান্ড দ্বীপে আন্তর্জাতিক সময় ৯টা ৪৩ মিনিটেই (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৪৩ মিনিটে) চাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে সূর্যের ৯৭ শতাংশ।
এরপর এমন সূর্যগ্রহণ দেখতে চাইলে ইউরোপবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে একদশকেরও বেশি সময় অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত। অবশ্য, ইউরোপের বাইরে আগামী বছরের ৯ মার্চ প্রশান্ত মহাসাগরসহ ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা, বোর্নো, সুলাওয়েসিতে সূর্যের ওপর ছায়া পড়বে চাঁদের।
বিস্ময়ের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ছাড়াও শুক্রবার আরও দু’টো প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে। এদিন সূযগ্রহণ কেটে যাওয়ার পরই রাতে দেখা দেবে ‘সুপারমুন’। সেই সঙ্গে ক্যালেন্ডারের হিসাবে এই দিনটিই সূর্যের বিষুবরেখা অতিক্রমকাল। ফলে দিন ও রাত্রি হবে সমানে সমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫
** চলছে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ