ঢাকা, শনিবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩২, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডে আবারো নতুন প্রধানমন্ত্রী, দুই বছরে তৃতীয়বার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২২, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫
থাইল্যান্ডে আবারো নতুন প্রধানমন্ত্রী, দুই বছরে তৃতীয়বার অনুতিন চার্নভিরাকুল

ব্যবসায়ী ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল থাই পার্লামেন্ট। গত সপ্তাহে আদালতের রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা পদচ্যুত হন।

অনুতিনের ভুমজাইথাই পার্টি সিনাওয়াত্রাদের দল ফিউ থাই নেতৃত্বাধীন জোট থেকে সরে এসে সংসদে পর্যাপ্ত সমর্থন জোগাড় করে প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে নিল।

তবে থাইল্যান্ডের জন্য অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। গত কয়েক বছরে দেশটিতে একের পর এক সরকার আদালতের রায় ও সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।

অনুতিনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার ঘটনা সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দেশটির রাজনীতিতে এই পরিবার আধিপত্য ধরে রেখেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে থাকসিনকে বহনকারী একটি ব্যক্তিগত বিমান দেশ ছাড়ায় থাইল্যান্ডজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দেয়।

শুক্রবার সকালে থাকসিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন। তবে ৯ সেপ্টেম্বরের আদালতের শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য তিনি দেশে ফিরবেন। ওই মামলায় তার আবারও কারাগারে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

অতীতে সিনাওয়াত্রাদের জনমুখী নীতি নিম্নআয়ের থাই জনগণের বিপুল সমর্থন পেয়েছিল। তবে এসব নীতি ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী অভিজাতদের সঙ্গে তাদের সংঘাত বাড়ায়।

থাকসিন ও তার বোন ইংলাক—দুজনই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে তারা ক্ষমতাচ্যুত হন।

পেতংতার্ন প্রধানমন্ত্রী হলে সেটি পরিবারটির প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা হয়েছিল। তবে তার অপসারণ প্রমাণ করে, রক্ষণশীল-রাজতন্ত্রী অভিজাতদের আস্থা তারা আবারও হারিয়েছে।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।