ঢাকা: মিশরে পুলিশের অভিযানে অন্তত ১৩ জন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশব্যাপী ‘বিদ্রোহের’ ডাক দিয়েছে দলটি।
বুধবার (০১ জুলাই) রাজধানী কায়রোয় সিক্সথ অব অক্টোবর শহরে একটি ভবনে হানা দেয় পুলিশ। এসময় সাবেক সংসদ সদস্য নাসের আল-হাফিসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হন বলে ব্রাদারহুডের এক সদস্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কয়েকজন পলাতক নেতা সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র করতে ওই ভবনে গোপন বৈঠক করছিল। সেখানে তাদের আটক করতে পুলিশ হানা দেয়। নিহতদের মধ্যে দু’জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী।
নিহতদের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ না করে ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযানে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারটি অস্ত্র, ৪৩ হাজার মিশরীয় পাউন্ড (প্রায় সোয়া চার লাখ টাকা), বিভিন্ন নথি ও মেমোরি কার্ড উদ্ধার করে।
তবে ব্রাদারহুডপন্থি টেলিভিশন চ্যানেল মেকামেলীন পরে জানায়, নিহতদের প্রথমে একটি বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়। তারপর কোনো অভিযোগ বা জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই ঠাণ্ডা মাথায় তাদের হত্যা করা হয়।
এদিকে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী এক বিবৃতিতে মুসলিম ব্রাদারহুড বলেছে, দেশ, জীবন ও উত্তরাধীকারীদের রক্ষায় বিদ্রোহ করুন। জঘন্য হত্যাকারীকে উৎক্ষাতের এখনই সময়। দিন দিন তার নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বেড়েই চলেছে। অন্যায় ও অত্যাচারের দুর্গ গুড়িয়ে দিন। আরও একবার মিশরকে উদ্ধার করুন।
মুসলিম ব্রাদারহুডের এ বিদ্রোহের ডাকে প্রচলিত রাজনৈতিক ধারা থেকে দলটির সরে দাঁড়ানোরই ইঙ্গিত পেয়েছেন বিশ্লেষকরা। আর এমন হলে মিশরসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্য আরও অশান্ত হয়ে উঠবে বলেই তাদের আশঙ্কা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
আরএইচ