ঢাকা: অবশেষে মুক্তি মিলেছে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি কয়েদি খাদের আদনানের (৩৭)। তবে এমনি এমনি আসেনি এ মুক্তির সুবাতাস।
মুক্তির পর রোববার (১২ জুলাই) খাদের নিজ বাসভূমি পশ্চিম তীরে পৌঁছান বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এসময় পরিবার ও শুভানধ্যায়ীরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে খাদের বলেন, আমি ফিলিস্তিনিদের খুশির জোয়ার ভাসতে দেখছি। তার সঙ্গে বিনা বিচারে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি আরও ফিলিস্তিনির জন্য তাদের ব্যাথা আর আশাও অনুভব করতে পারছি।
এবার নিয়ে ১০ বার খাদের আদনানকে সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কোনোরকম বিচারের সম্মূখীন না করে তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রথমবার থেকে শেষবার পর্যন্ত, সব বারই ভুল করে আমাকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, টানা ৫৬ দিন অনশনের পর গত ২৯ জুন ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ খাদেরকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তখনই ধারণা করা হচ্ছিল, তাকে ১২ জুলাই মুক্তি দেওয়া হতে পারে। অনশনের আগে তাকে ‘প্রশাসনিক আটকাদেশের’ বলে ১১ মাস ধরে কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
ইসরায়েলের ‘প্রশাসনিক আটকাদেশ’ এমনই একটা ব্যবস্থা, যার জোরে সন্দেহভাজন যে কাউকে পুলিশ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আদালতে সোপর্দ না করেই আটকে রাখতে পারে।
এর আগে ২০১১ সালে আটকের পর মুক্তির দাবিতে একবার অনশন করেন খাদের আদনান। সেবার ৬৬ দিন অনশনের পর ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি মেলে তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৫
আরএইচ
** ৫৫ দিন অনশনের পর ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল