ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অর্ধশতক পর যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা সম্পর্কে জোড়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৫
অর্ধশতক পর যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা সম্পর্কে জোড়া ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: অবশেষে উড়লো যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার কূটনৈতিক পতাকা। প্রায় অর্ধশতাব্দী পর আবারও দূতাবাস চালু করলো একসময়ের বৈরী দু’টি দেশ।

দূতাবাস চালুর মধ্য দিয়ে জোড়া লাগলো দীর্ঘ সময় ধরে ছিন্ন থাকা ওয়াশিংটন-হাভানা কূটনৈতিক সম্পর্কে।

২০ জুলাইয়ের (সোমবার) প্রথম প্রহরে ওয়াশিংটনে কিউবার এবং হাভানায় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনে একযোগে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়। এ পতাকা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে পুরোপুরিভাবে কার্যক্রম শুরু করে দু’দেশের দূতাবাস।

সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ২০ জুলাই দিনের শেষভাগে ওয়াশিংটনে কিউবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। দীর্ঘ সময় পর দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক কার্যক্রম গতি লাভ করবে বলে ভাবা হচ্ছে। দু’পক্ষই বলছে, সম্পর্কের জটিলতা কাটিয়ে ওয়াশিংটন-হাভানা সম্পর্কে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এসব বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র উচ্ছ্বাস প্রকাশ বলেন, আমরা আসলে এখনও অনেক বিষয় সরাসরি আলাপ করিনি। আশা করছি, এ বৈঠক থেকে সেসব অমীমাংসিত বিষয়েরও মীমাংসা হতে শুরু করবে।

দূতাবাস চালু হলেও এখনও কিউবার ওপর পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত থাকায় ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বীপ দেশটিতে বাণিজ্যে যেতে পারছে না আমেরিকান ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। দূতাবাস চালুর পর এ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও যুক্তরাষ্ট্র তুলে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছে কিউবা।

গত বছরের ডিসেম্বরে একটি বৈঠকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবান প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো। সমঝোতার ভিত্তিতে কিউবায় দূতাবাস চালু ওবামার মেয়াদকালে তার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম বড় অর্জন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

কিউবায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে দু’দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৮ সালের পর আর কখনও মুখোমুখি হননি দুই দেশের নেতারা। ১৯৫৯ সালে কিউবার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৬১ সালে দেশটিতে দূতাবাসও বন্ধ করে দেয় ওয়াশিংটন। এরপর ১৯৮২ সালে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কিউবাকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কালো তালিকাভুক্ত দেশগুলোর তালিকায় কিউবাই প্রথম কোনো রাষ্ট্র হিসেবে জায়গা ‍পায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘কালো তালিকা’ভুক্ত হওয়ার কারণে কিউবাকে এতোদিন অর্থনৈতিক ও অস্ত্র রফতানির ওপর বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকতে হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থঋণের বিষয়ে বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।